Istanbul Earthquake : তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইস্তানবুল, রাস্তায় নেমে এলেন শহরবাসী; আতঙ্কে ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ !
Turkey’s Istanbul Earthquake: প্রাথমিকভাবে, ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর সামনে না এলেও, সোশাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।

ইস্তানবুল (তুর্কি) : সদ্য মায়ানমার ও থাইল্যান্ডে ঘটে গেছে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প। এবার তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুর্কির ইস্তানবুল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.২। এমনই জানিয়েছেন সেদেশের ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি। ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির হিসাব এখনই পাওয়া যায়নি। তবে, শহরে কম্পন অনুভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিল্ডিং ও অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন বহু মানুষ। বসফরাস প্রণালীর ইউরোপীয় এবং এশীয় তীরে অবস্থিত এই শহর। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.২ এবং গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। এর কেন্দ্রস্থল ইস্তানবুত থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পশ্চিমে মারমারা সাগরে।
প্রাথমিকভাবে, ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর সামনে না এলেও, সোশাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গেছে, আতঙ্কে বহু মানুষ বিল্ডিং ও অফিস থেকে রাস্তায় নেমে এসেছেন। হঠাৎ, এত জোরে বিল্ডিং কেঁপে ওঠায় অনেকেই রাস্তায় দাঁড়িয়েও রীতিমতো আতঙ্কিত ছিলেন। ইস্তানবুল শহর থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে এর কেন্দ্রস্থল থাকায় তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। যা তুর্কির সবথেকে জনবহুল শহরের মানুষকে আতঙ্ক ধরানোর জন্য যথেষ্ট ছিল। ব্রকাস্টার TGRT-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ভূমিকম্পের সময় এক ব্যক্তি আতঙ্কে ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ মারেন। যার জেরে তিনি আহত হয়েছেন। এই পরস্থিতিতে বিপদ এড়াতে শহরের মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত কোনও বহুতলে ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছে।
তবে, তুর্কিতে ভূমিকম্পের ঘটনা নতুন নয়। বিভিন্ন সময়ে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা রয়েছে এই দেশের মানুষের। সাম্প্রতিক সময়ে সবথেকে বড় বিপর্যয় ঘটেছিল ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রায় কেঁপে ওঠে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এলাকা। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আবার সেখানে ভূমিকম্প হয়েছিল। ২০২৩ সালের এই ঘটনায় দেশের ১১টি প্রদেশে বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। ৫৩ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল তুর্কিতেই। এর পাশাপাশি মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে প্রতিবেশী দেশ সিরিয়াতেও। সেখানেও ৬ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। সেই বিপর্যয়ে হাজার হাজার বহুতল হয় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, নয়তো ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মায়ানমার। মৃত্যুপুরী মায়ানমার থেকে উদ্ধার হয় একের পর এক দেহ। লাশ গুনতে গুনতে পৌঁছে যায় কয়েক হাজারে। প্রথম ভূমিকম্পটি ছিল ৭.৭ মাত্রার। তার পরেরটি ৬.৪ মাত্রার। প্রায় ৩৬টি আফটারশকের কথা সামনে আসে।






















