নিত্যানন্দকে আশ্রয় বা জমি দেওয়া হয়নি, জানাল ইক্যুয়েডর, পাসপোর্ট বাতিল কেন্দ্রের
এদিনই বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিত্যানন্দের পাসপোর্ট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নয়াদিল্লি: স্বামী নিত্যানন্দকে কোনও প্রকারের আশ্রয় দেওয়া হয়নি বলে জানিয়ে দিল ইক্যুয়েডর। তাদের আরও দাবি, স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে কোনও ধরনের জমি কিনতে সাহায্যও করা হয়নি। এদিনই ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিত্যানন্দের পাসপোর্ট প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার নতুন পাসপোর্টের আবেদনও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ভারতে স্বামী নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে শিশুদের আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে এবং ইতিমধ্যে একটি ধর্ষণের মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। খবরে প্রকাশ, লাতিন আমেরিকার রাষ্ট্র ইক্যুয়েডরের একটি দ্বীপে পৃথক ‘রাষ্ট্র’ গঠন করেছে নিত্যানন্দ। আর সেই জমি পেতে সাহায্য করেছে ইক্যুয়েডর প্রশাসন। শুক্রবার, এই খবরের সত্যতা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করে ইক্যুয়েডরের দূতাবাসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিত্যানন্দ তাদের দেশ ছেড়ে হাইতিতে চলে গিয়েছে। ইক্যুয়েডর দূতাবাসের সাফাই, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একাংশে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তার উৎস হল কৈলাশ ডট ওআরজি নামে একটি ওয়েরসাইট-- যা নিত্যানন্দ ও তার অনুগামীরাই মূলত পরিচালনা করে থাকে। সম্প্রতি, খবরে প্রকাশিত হয় যে, ইক্যুয়েডরের কাছে একটি দ্বীপে কৈলাশ নামে একটি হিন্দু রাষ্ট্র গঠন করেছে নিত্যানন্দ। সেখানে পৃথক ত্রিকোণ পতাকা ও রাজনৈতিক কাঠামো গঠন করা হয়েছে। ভাষা হিসেবে দেখানো হয়েছে ইংরেজি, সংস্কৃত ও তামিল। ওয়েবসাইটের দাবি, কৈলাশ এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে কোনও সীমান্ত নেই। বিশ্বব্যাপী অধিকারচ্যূত হিন্দুরা, যাঁদের নিজেদের দেশে হিন্দুধর্ম পালন করতে দেওয়া হয় না, তারা এই জায়গায় আসতে পারেন। কর্নাটকে ধর্ষণ মামলা দায়ের হওয়ার পরই নিজেকে বাঁচাতে পাসপোর্ট ছাড়াই দেশ থেকে পালায় নিত্যানন্দ। তামিলনাড়ুর বাসিন্দা নিত্যানন্দের আসল নাম রাজশেখরণ। ২০০০ সালের আশেপাশে বেঙ্গালুরুর কাছে আশ্রম খোলে নিত্যানন্দ। ওশো রজনীশের মতাদর্শ অনুসরণ করত নিত্যানন্দ। ২০১০ সালে এক অভিনেত্রীর সঙ্গে আপত্তিজনক অবস্থায় নিত্যানন্দের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়ে। পরে, ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পরে, আরও একটি ধর্ষণের ঘটনায় চার্জশিট পেশ ও গ্রেফতার করা হয়েছিল নিত্যানন্দকে। পাশাপাশি, প্রায় ৩ কোটি টাকার প্রতারণার জন্যও তাকে তদন্ত করছে ফরাসি প্রশাসন।