Mahua Moitra: মহুয়ার সাংসদ পদ কি খারিজ হতে পারে ? আজই লোকসভায় এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশের সম্ভাবনা
EC ON Mahua Moitra: দুবাইয়ে প্রতিষ্ঠিত ব্য়বসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকে, সাংসদ পোর্টালের লগ ইন পাসওয়ার্ড দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে।
নয়াদিল্লি: মহুয়া মৈত্রর ( Mahua Moitra) বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে, আজ লোকসভায় পেশ করা হতে পারে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট। এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)। কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে, লোকসভার এথিক্স কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে দাবি করা হয়েছে, মহুয়া মৈত্র যা করেছেন, তা কঠোর শাস্তিযোগ্য়। তাই কমিটির সুপারিশ, সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সতেরো-তম লোকসভার সদস্য়পদ বাতিল করা হোক।
দুবাইয়ে প্রতিষ্ঠিত ব্য়বসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকে, সাংসদ পোর্টালের লগ ইন পাসওয়ার্ড দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে। যার প্রেক্ষিতে, সংবাদসংস্থা ANI জানায়,জাতীয় লোকপালের সুপারিশ মতো মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করেছে CBI । যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে মহুয়া মৈত্রর দাবি, মোদি সরকারের সঙ্গে শিল্পপতি গৌতম আদানির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্যই, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বিজেপি।
মহুয়ার সমর্থনে মুখ খুলেছেন মমতাও। বিজেপি মহুয়াকে সংসদ থেকে তাড়াতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন। বলেন, 'এরা এখন মহুয়াকেও তাড়িয়ে দেওয়া। তাতে ও আরও জনপ্রিয় হয়ে যাবে। যেটা এতদিন ভিতরে বলত, আগামী তিন মাস না হয় বাইরে বলবে। রোজ সাংবাদিক বৈঠক করে বলবে! কী যায় আসে! মূর্খ না হলে নির্বাচনের তিন মাস আগে কেউ এমন করে?' মহুয়াকে নিয়ে মমতার এই উক্তিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখছে রাজনৈতিক মহল। কারণ এর আগে, মহুয়াকে নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি হননি মমতা। মহুয়া নিজের লড়াই লড়ে নিতে পারবেন বলেই মন্তব্য করেছিলেন।
আরও পড়ুন, স্বাস্থ্যপরীক্ষার আগেই 'কালীঘাটের কাকুকে' ICCU-তে স্থানান্তর
কিন্তু সম্প্রতি একে একে ফিরহাদ হাকিম, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মহুয়ার সমর্থনে এগিয়ে আসেন। সাংসদপদ নিয়ে টানাটানির মধ্যে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়াকে নদিয়া জেলায় তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব সঁপে দেওয়া হয়। তার পর এই প্রথম মহুয়ার সমর্থনে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন মমতা। মহুয়া যদিও গোড়া থেকেই বলে আসছিলেন, দলনেত্রী থেকে তৃণমূলের সকলেই তাঁর পাশে রয়েছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি বেছে বেছে বিরোধী শিবিরের নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন মমতা। বলেন, 'কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি বিরোধী শিবিরের নেতাদের নিশানা করছে। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি যখন থাকবে না, এদের কী হবে ? ক্ষমতায় বিজেপি-র মেয়াদ তো আর মাত্র তিন মাস।'