Medicine: ওষুধ খাওয়ার পরে অস্বস্তি বা প্যাকেট দেখে সন্দেহ? সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকে! জেনে নিন পদ্ধতি
Complain about Medicine: কোনও ওষুধ খাওয়ার পর কি অন্যরকম কিছু মনে হচ্ছে? নাকি, ওষুধের ফয়েল বা প্যাকেট দেখেই সন্দেহ হচ্ছে?

সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ওষুধ নিয়ে কোনও রকম সন্দেহ বা সমস্যা হলে, অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা করল স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ফার্মাকোভিজিলেন্স কমিশন অফ ইন্ডিয়া। দেশের সমস্ত খুচরো এবং পাইকারি ওষুধের দোকানে QR কোড এবং টোল ফ্রি নম্বর টাঙিয়ে রাখার নির্দেশ। কেন্দ্রের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে চিকিৎসকদের একাংশ।
কোনও ওষুধ খাওয়ার পর কি অন্যরকম কিছু মনে হচ্ছে? নাকি, ওষুধের ফয়েল বা প্যাকেট দেখেই সন্দেহ হচ্ছে? দেরি না করে জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে। কী করে জানাবেন? তার জন্য বিশেষ বারকোডের পাশাপাশি, টোল ফ্রি হেল্পলাইন চালু করল স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ফার্মাকোভিজিলেন্স কমিশন অফ ইন্ডিয়া। টোল ফ্রি নন্বরটি হল 1800 180 3024। এক বিজ্ঞপ্তিতে Central Drugs Standard Control Organization বা CDSCO (উচ্চারণ: সিডিএসকো) জানিয়েছে, দেশের সমস্ত খুচরো এবং পাইকারি ওষুধের দোকানে, এই QR কোড দেওয়া এই পোস্টার জনসাধারণের জন্য ডিসপ্লে করতে হবে। পাশাপাশি টাঙিয়ে রাখতে হবে টোল ফ্রি নম্বর।
প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে, দিল্লির তরফে। কীভাবে জানাতে হবে অভিযোগ? স্মার্ট ফোনে QR কোড স্ক্যান করলেই খুলে যাবে Adverse Drug Reactions Monitoring System বা ADRMS-এর পোর্টাল। সেখানে থাকে বিশেষ ডিজিটাল ফর্ম ফিলআপ করতে হবে। অভিযোগকারীর নাম, ঠিকানা, বয়স উল্লেখ করে জানাতে হবে জেলা, রাজ্যের নাম। লিখতে হবে, ঠিক কী অভিযোগ... কোন ওষুধ বা ভ্যাকসিন থেকে সমস্যা হচ্ছে? কী ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে? এখন শারীরিক অবস্থা ঠিক কী রকম?
ওষুধটি কোন সংস্থার তৈরি। ওষুধের গায়ে থাকা ব্যাচ নম্বর, লাইসেন্স নম্বর ও এক্সপায়েরি ডেট উল্লেখ করতে হবে। সেই সঙ্গে যদি কিছু ছবি আপলোড করতে চান, তাও করা যাবে। এরপর সাবমিট করে দিলেই দায়ের হয়ে যাবে অভিযোগ। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অপূর্ব ঘোষ বলছেন, 'সঠিক পদক্ষেপ। কোনও ঘটনা ঘটলে পুলিশের হেল্পলাইন থাকে। ওষুধে কিছু হলে, আমরা তো জানি না কোথায় অভিযোগ করব।'
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে বিষাক্ত কাফ সিরাপ খেয়ে অন্তত ২০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসে Central Drugs Standard Control Organization বা CDSCO এবং
রাজ্যের Directorate Of Drugs Control। ৩ ভারতীয় সংস্থার বিরুদ্ধে গ্লোবাল অ্যালার্ট জারি করে WHO। এবার সন্দেহজনক ওষুধ নিয়ে পদক্ষেপ করলে কেনদ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।






















