এক্সপ্লোর
Advertisement
প্রয়াত কেশুভাই পটেল, আমার মতো অনেক তরুণ কার্যকর্তাকে তৈরি করেছিলেন, ট্যুইট মোদির
কেশুভাই ১৯৯৫ এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০১ পর্যন্ত গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। গুজরাত বিধানসভার সদস্য হিসেবে ছ'বার নির্বাচিত হন। এরপর তিনি বিজেপি ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক দল তৈরি করেন। যার নাম গুজরাত পরিবর্তন পার্টি। পরে, ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তে দলটি ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে আবার যুক্ত হয়।
নয়াদিল্লি: প্রয়াত গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেশুভাই পটেল। বয়স হয়েছিল ৯২। হঠাৎ বুকে ব্যথা শুরু হলে তাঁকে দ্রুত আমদাবাদের স্টার্লিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি প্রয়াত হন। গত মাসে করোনায় আক্রান্ত হন কেশুভাই। তাঁর কোভিড সংক্রমণের খবর জানিয়ে জানিয়েছিলেন তাঁর ছেলে ভরত প্যাটেল। তবে তাঁর মধ্যে কোনও উপসর্গ ছিল না। যদিও কো-মরবিডিটি ছিল শরীরে। এর আগে তাঁর বাইপাস সার্জারি হয়েছে। তিনি প্রস্টেট ক্যানসারেও ভুগছিলেন বেশ কিছদিন ধরে।
Keshubhai mentored and groomed many younger Karyakartas including me. Everyone loved his affable nature. His demise is an irreparable loss. We are all grieving today. My thoughts are with his family and well-wishers. Spoke to his son Bharat and expressed condolences. Om Shanti. pic.twitter.com/p9HF3D5b7y
— Narendra Modi (@narendramodi) October 29, 2020
কেশুভাইয়ের প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটারে তিনি বলন, 'আমাদের প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় কেশুভাই প্রয়াত হয়েছেন। আমি অত্যন্ত দুঃথিত এবং শোকাহত। এটা অপূরণীয় ক্ষতি। উনি একজন দুর্দান্ত নেতা ছিলেন। যিনি সমাজের প্রতিটি শ্রেণির মানুষের দেখভাল করতেন। গুজরাতের উন্নতি এবং প্রত্যেক গুজরাতের মানুষের ক্ষমতায়নের নিজের উৎসর্গ করেছিলেন।' কেশুভাইয়ের সঙ্গে নিজের হাসিমুখের একটি পুরানো ছবি পোস্ট করে মোদি আরও লেখেন, কেশুভাই আমাকে সহ অনেক অল্পবয়সি কার্যকর্তার গুরু ছিলেন, তৈরি করেছিলেন তাঁদের। সবাই তাঁর স্নেহময় চরিত্র পছন্দ করত। ওনার মৃত্যু এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা আজ সকলে শোকস্তব্ধ। ওনার পরিবার, শুভানুধ্য়ায়ীদের প্রতি সমবেদনা রইল। ওনার ছেলে ভরতের সঙ্গে কথা বলে শোক জানিয়েছি। ওম শান্তি।
কেশুভাই ১৯৯৫ এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০১ পর্যন্ত গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। গুজরাত বিধানসভার সদস্য হিসেবে ছ'বার নির্বাচিত হন। এরপর তিনি বিজেপি ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক দল তৈরি করেন। যার নাম গুজরাত পরিবর্তন পার্টি। পরে, ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তে দলটি ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে আবার যুক্ত হয়।
কেশুভাই ২০১২ সালে বিশ্ববাদর বিধানসভা আসন থেকে নির্বাচিত হলেও অসুস্থতার কারণে ২০১৪ সালে পদত্যাগ করেছিলেন। ১৯৩৮ সালে জুনাগড় জেলার বিশ্ববাদর শহরে জন্মগ্রহণ করেন কেশুভাই। তিনি ১৯৪৫ সালে প্রচারক হিসাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে যোগ দেন। ১৯৬০ এর দশকে জনসংঘের কর্মী হিসেবে তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। গুজরাতে তিনি ছিলেন বিজেপি-র একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।সত্তরের দশকে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষিত হওয়ার পর জেলে যেতে হয়েছিল কেশুভাইকে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
কলকাতা
খবর
খবর
জেলার
Advertisement