US-India Trade: পাকিস্তানের ‘চাটুকারিতা’ ও ‘ঘুষে’ মজেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করেছেন ট্রাম্প? বলছেন পেন্টাগনের প্রাক্তন আধিকারিক
US-India Relations: সংবাদ সংস্থা ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে চলা টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন পেন্টাগনের প্রাক্তন আধিকারিক মাইকেল রুবিন।

নয়াদিল্লি: দুই রাষ্ট্রনেতার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিত একসময়। এখনও খবরের শিরোনামেই থাকেন তাঁরা, তবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পরিবর্তে টানাপোড়েনের কথাই উঠে আসে বার বার। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যেকার বোঝাপড়া যে আগের জায়গায় নেই, তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট, যা ভারত ও আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককেও প্রভাবিত করছে। সেই নিয়ে এবার মুখ খুললেন পেন্টাগনের প্রাক্তন আধিকারিক। বর্তমান পরিস্থিতির জন্য পাকিস্তানকেই দুষলেন তিনি। (US-India Relations)
সংবাদ সংস্থা ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে চলা টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন পেন্টাগনের প্রাক্তন আধিকারিক মাইকেল রুবিন। তাঁর দাবি, ট্রাম্পের ‘অযোগ্যতার’ কারণেই ভারত ও রাশিার মধ্যে সম্পর্ক গাঢ় হচ্ছে। আমেরিকার নাগরিকরাও ট্রাম্পের আচরণে ক্ষুব্ধ বলে দাবি তাঁর। পাকিস্তানের ‘চাটুকারিতা’ এবং ‘ঘুষ’ই এর জন্য দায়ী হলেও অভিযোগ তুলেছেন মাইকেল। (US-India Trade)
ANI-এর মুখোমুখি হয়ে মাইকেল বলেন, “আমেরিকা ও ভারতের বোঝাপড়াকে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন, তাতে আমরা অনেকেই স্তম্ভিত। কেন এমন করছেন ট্রাম্প, অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। হতে পারে পাকিস্তানিদের চাটুকারিতা। তার চেয়েও বেশি হয়ত ঘুষ, পাকিস্তান এবং তাদের সমর্থনকারী তুরস্ক এবং কাতারের তরফে দেওয়া…এই ঘুষ বিপর্যয় ডেকে আনতে চলেছে, যা কৌশলগত ভাবে আগামী কয়েক দশক আমেরিকার জন্য ঘাটতিযুক্ত প্রমাণিত হবে।”
#WATCH | Washington, DC, USA | On being asked how Russian President Vladimir Putin’s visit to India is being viewed within U.S. policy circles, Former Pentagon official Michael Rubin says, "It is being perceived in two different ways. If you're Donald Trump, it's being perceived… pic.twitter.com/YQlOZMcCii
— ANI (@ANI) December 5, 2025
রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের উপর দু’দফায় ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপান ট্রাম্প। সেই নিয়েও আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে বিঁধেছেন মাইকেল। তাঁদের দাবি, আমেরিকা নিজে যেখানে রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসাবাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে, সেখানে ভারতকে ‘জ্ঞান’ দেওয়া ‘দ্বিচারিতা’র সমান। তাঁর কথায়, “আমেরিকা বুঝতে পারছে না যে ভারতীয়রা দেশের স্বার্থ সামনে রেখেই মোদিকে নির্বাচিত করেছেন। সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ ভারত। পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হতে চলেছে।”
মাইকেলের মতে, ভারতকে ‘জ্ঞান’ দেওয়ার পরিবর্তে, দিল্লিকে কম দামে তেল বিক্রি করা উচিত ওয়াশিংটনের। সেই কাজ যদি সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে আমেরিকার চুপ থাকা উচিত। কারণ ভারতকে নিজেরটা বুঝতে হবে। দু’দফায় ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। রাশিয়ার থেকে তেল কিনে ভারত আসলে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ মদত জোগাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে তাঁর সরকার। এই টানাপোড়েনের মধ্যেই ৪ ডিসেম্বর দিল্লি পৌঁছন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি জানিয়েছেন, কোনও বাধাবিঘ্ন ছাড়া, আগামী দিনেও ভারতকে তেলের জোগান দিতে প্রস্তুত তাঁরা। যদিও ভারত ইতিমধ্যেই রাশিয়ার থেকে তেল কেনা কমিয়ে দিয়েছে বলে খবর।






















