কোচবিহারে সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বন্ধ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া
অভিযোগ, এদিন কোচবিহার পুলিশ হাসপাতালে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে এসে লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে ফিরে যান।
কোচবিহার: রাজ্যে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে এবার কোচবিহারে সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়াও বন্ধ হল। অভিযোগ, এদিন কোচবিহার পুলিশ হাসপাতালে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে এসে লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে ফিরে যান। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি নির্দেশ মেনে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে ৮৪ দিন অর্থাৎ ১২ সপ্তাহ পর। এই মুহূর্তে হকার, পরিবহন কর্মীরা ভ্যাকসিন নেওয়ায় অগ্রাধিকার পাবেন।
শনিবারও সারা দেশে কিছুটা কমল সংক্রমণ। কিন্তু নিশ্চিন্ত হওয়ার উপায় নেই। তিন লক্ষের ওপরেই থাকল দৈনিক সংক্রমণ। দেশজুড়ে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত রয়েছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভ্যাকসিনের চাহিদাও। বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র সর্বত্র ভ্যাকসিন নেওয়ার লম্বা লাইন। একই ছবি দেখা দেল কোচবিহারের পুলিশ হাসপাতালে।
বৃহস্পতিবারই কোভিশিল্ডের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়িয়ে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই নিয়ম কার্যকরী হলেও তা জানেন না অনেকে। শনিবার ভোর থেকে কোচবিহারের পুলিশ হাসপাতলে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ২০০-এর বেশি মানুষকে।
জানা গিয়েছে, বেলা ১১টা নাগাদ, হাসপাতালের তরফে নোটিস টাঙিয়ে বলা হয়, এদিন দ্বিতীয় ডোজ মিলবে না। যাঁরা কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাঁরা ৮৪ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ পাবেন। ভ্যাকসিন নিতে এসে একজন জানান, দ্বিতীয় ডোজ নিতে গতকাল বন্ধ ছিল সকাল দাঁড়িছিলাম, ১১ টা জানাল ভ্যাকসিন দেবে না ৮৪ দিন পর আসতে বলছে।
কোচবিহারের স্বাস্থ্য কর্মী শুক্লা গুহর কথায়, আমাদের নির্দেশ এসেছে যেহেতু ৮৪ দিন পর, দ্বিতীয় ডোজ তাই বন্ধ রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। প্রশাসন সূত্রে খবর, সরকারি নির্দেশ মেনে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে ৮৪ দিন অর্থাৎ ১২ সপ্তাহ পর। এই মুহূর্তে হকার, পরিবহন কর্মীরা ভ্যাকসিন নেওয়ায় অগ্রাধিকার পাবেন।