Indira Gandhi birthday: ইন্দিরা মাতৃভূমির মহান কন্যা—প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে শ্রদ্ধা কংগ্রেসের
ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম বর্ণময় চরিত্র ইন্দিরা। দেশের রাজনীতিতে সম্ভবত তিনিই একমাত্র রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি যতটা সমাদৃত-সম্মানিত, ততটাই বিতর্কিত।
নয়া দিল্লি: ইন্দিরা গাঁধী ছিলেন এক জন দক্ষ প্রধানমন্ত্রী এবং শক্তিস্বরূপিণী। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা তাঁর ঠাকুমার ১০৩তম জন্মদিনে এ ভাবেই স্মরণ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। আর তাঁর দল কংগ্রেস বলল, ইন্দিরা হলেন মাতৃভূমির মহান কন্যা।
বৃহস্পতিবার দিল্লির শক্তিস্থলে গিয়ে ইন্দিরা গাঁধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান রাহুল। নিজের টুইটার হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, এক জন দক্ষ প্রধানমন্ত্রী ও শক্তিস্বরূপিণী ছিলেন শ্রীমতি ইন্দিরা গাঁধী। তাঁর জন্মদিনে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি। গোটা দেশ আজও তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কথা স্মরণ করে। কিন্তু আমি তাঁকে আমার ভালবাসার দাদি হিসেবেই স্মরণ করছি। তাঁর শেখানো কথাগুলি আমাকে প্রতিনিয়ত প্রেরণা জোগায়।
एक कार्यकुशल प्रधानमंत्री और शक्ति स्वरूप श्रीमती इंदिरा गांधी जी की जयंती पर श्रद्धांजलि।
पूरा देश उनके प्रभावशाली नेतृत्व की आज भी मिसाल देता है लेकिन मैं उन्हें हमेशा अपनी प्यारी दादी के रूप में याद करता हूँ। उनकी सिखायी हुई बातें मुझे निरंतर प्रेरित करती हैं। pic.twitter.com/9RHDnAClOJ
দলের প্রাক্তন সভাপতি ইন্দিরা গাঁধীকে জন্মদিনের শ্রদ্ধা জানিয়ে কংগ্রেসের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, এক জন প্রবর্তক, দূরদর্শী, প্রকৃত নেত্রী এবং ভারতের মহান কন্যা ইন্দিরা গাঁধী দেশবাসীর কাছে প্রধানমন্ত্রীর থেকে বেশি কিছু ছিলেন। দেশকে মহিমান্বিত ও সমৃদ্ধিশালী করতে সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছিলেন। ভারতের ইন্দিরার জন্য আমরা গর্বিত।
It is said true leaders are born not made.
Even at the young age of 12, the promise of an inspiring leader who could mobilise masses for a great cause shone through Indira ji.#IndiasIndira pic.twitter.com/MqHDWQKFsz
ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম বর্ণময় চরিত্র ইন্দিরা। দেশের রাজনীতিতে সম্ভবত তিনিই একমাত্র রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি যতটা সমাদৃত-সম্মানিত, ততটাই বিতর্কিত। প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর পরে ইন্দিরাই দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি সবচেয়ে বেশি সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র, অর্থ, প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন ইন্দিরা। অর্থনীতিবিদদের একাংশ আজও মনে করেন, ব্যাঙ্ক এবং খনি জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইন্দিরা দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করেছিলেন। তাঁর সাফল্যের মুকুটে অন্যতম পালক ১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে যুদ্ধে পরাজিত করা। শুধু তাই নয়, তাঁর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ও সমর্থনে পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে। ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থা জারির জন্য যথেষ্ট নিন্দিত হতে হয়েছে ইন্দিরাকে।
সব মিলিয়ে ভারতীয় রাজনীতিতে আজও বর্ণময় চরিত্র ইন্দিরা গাঁধী। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর নিজের দেহরক্ষীদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন তিনি. মৃত্যুর ৩৬ বছর পরেও তিনি এবং তাঁর নানা সিদ্ধান্ত ভারতবাসীর চর্চার অন্যতম বিষয়।