Hathras Case : হাথরাসে দলিত যুবতীকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় খালাস ৩ অভিযুক্ত ! দোষীসাব্যস্ত মূল অভিযুক্ত
Crime in Uttar Pradesh : দিল্লি থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে হাথরাস। এখানকারই ২০ বছরের এক দলিত যুবতীকে বছর দুয়েক আগে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে
নয়াদিল্লি : দলিত যুবতীকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। ২০২০ সালের সেই ঘটনায় অভিষুক্ত তিন জনকে বেকসুর খালাস করল উত্তরপ্রদেশের আদালত। তবে, মূল অভিযুক্তকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ধর্ষণ বা হত্যা নয়, কম গুরুতর অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অপর তিন অভিযুক্ত তথা সন্দীপের কাকা রবি এবং তাদের বন্ধু লব কুশ ও রামুকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়েছে।
দিল্লি থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে হাথরাস। এখানকারই ২০ বছরের এক দলিত যুবতীকে বছর দুয়েক আগে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। এর ১৫ দিন পর দিল্লির একটি হাসপাতালে মারা যান ওই যুবতী। পুলিশকে দেওয়া বিবৃতিতে ওই যুবতী জানান, মা ও ভাইয়ের সঙ্গে তিনি ঘাস কাটছিলেন। সেই সময় তাঁর ওড়না ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযোগ ওঠে, যোগী সরকারের মুখ পোড়ার আশঙ্কায় প্রশাসন তাঁর দেহ দেহ করে দেয় । অন্যদিকে, তাঁর পরিবারকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিল। পুলিশ জানায়, পরিবারের অনুমতি নিয়েই শেষকৃত্য করা হয়েছে। চাপের মুখে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় উত্তরপ্রদেশ সরকার। এদিকে সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টকে তাদের নজরদারিতে সিবিআইয়ের তদন্ত পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে প্রথম থেকেই নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেছে অভিযুক্তরা। এমনকি জেলে বসে এক অভিযুক্ত উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে লেখে, তাদের ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি সহ বাকি ৩ জনের জন্য ন্যায়বিচারের দাবি করেন তিনি।
ভয়ঙ্কর সেই ঘটনায় ওই যুবতীর দেহের একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভেঙে যায়। ঘটনাটি ২০১২-য় নির্ভয়া গণধর্ষণের স্মৃতি উস্কে দেয়। ঘাড়ে আঘাত পাওয়ায় অসাড় হয়ে পড়ে যুবতীর শরীর। যার জেরে তিনি শ্বাস নিতে পারছিলেন না বলে জানান চিকিৎসকরা। অভিযুক্তরা যখন তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করছিলেন, সেইসময় তাঁর জিভ কাটা পড়ে।
ঘটনায় ৪ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। উল্লেখযোগ্য হল, ওই ৪ অভিযুক্তই উচ্চবর্ণের। ঘটনার ৩ মাস পর চার্জশিট গঠন করা হয়। তফশিলি জাতি-জনজাতি আইনেও ওই চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
উল্লেখ্য, যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বদনাম করার ‘আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা’র হদিশ মিলেছে বলে দাবি করেছিল রাজ্য় পুলিশ। সূত্রের দাবি করে, justiceforhathrasvictim.carrd.co নামে একটি ওয়েবসাইটের এই চক্রান্ত।