এক্সপ্লোর
Advertisement
যৌনতা পুরুষদের সহজাত প্রবৃত্তি, বেকারি বাড়ছে, তাই এত ধর্ষণ! কাটজুর মন্তব্যে আলোড়ন
তিনি সওয়াল করেন, ভারতের মতো রক্ষণশীল সমাজে শুধু বিয়ের মাধ্যমেই যৌন সম্পর্ক হয়। একটা বড় সংখ্যায় কর্মহীন লোকজনের বিয়েই হয় না কেননা কোনও মেয়েই বেকার ছেলেকে বিয়ে করবে না!
নয়াদিল্লি: নির্ভয়ার মতোই হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডে ফের উত্তাল রাজনীতি। নির্যাতিতার মৃত্যুর পর গতকাল দিনভর সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব ছিলেন নেটিজেনরা। উত্তরপ্রদেশে মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে কাঠগড়ায় যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন। তার মধ্যেউ হাথরাস কাণ্ডের নিন্দা করেও বিতর্ক উসকে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মার্কন্ডেয় কাটজু।
তিনি বলেছেন,’’ হাথরস গণধর্ষণ কাণ্ডের নিন্দা করছি, দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হোক। তবে আরেকটা জিনিস মনে রাখা দরকার, যৌনতা পুরুষের সহজাত প্রবৃত্তি। এমনকী কখনও কখনও এমনও বলা হয়ে থাকে, খাদ্যের পরেই সবচেয়ে বেশি যা প্রয়োজন, তা হল যৌনতা।‘‘
ধর্ষণের সঙ্গে বেকারত্বকেও জড়িয়ে দিয়েছেন কাটজু। তাঁর মতে, দেশের জনসংখ্যা যে হারে বেড়েছে, চাকরি সেই হারে বাড়েনি। তিনি বলেন, ’’ভারতের জনসংখ্যা ১৩৫ কোটি, তার মানে দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে চারগুণ, কিন্তু চাকরি সেই অনুপাতে কিছুই বাড়েনি। এ বছরের জুনে ১২ কোটি মানুষ চাকরি খুইয়েছেন। তাহলে ধর্ষণ বাড়বে না? ‘‘
— Markandey Katju (@mkatju) September 30, 2020
তিনি সওয়াল করেন, ভারতের মতো রক্ষণশীল সমাজে শুধু বিয়ের মাধ্যমেই যৌন সম্পর্ক হয়। একটা বড় সংখ্যায় কর্মহীন লোকজনের বিয়েই হয় না কেননা কোনও মেয়েই বেকার ছেলেকে বিয়ে করবে না! কাটজু স্বাধীনতার পর থেকে সামগ্রিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সঙ্গে ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির তুলনা টেনে বলেন, গত সাত দশকে আদর্শ হারে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি হয়নি, হতে পারে সেটা দেশে ধর্ষণের ঘটনা মাথাচাড়া দেওয়ার একটা কারণ।
ট্যুইটারে কাটজুর ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে এহেন পোস্ট ঘিরে নেট নাগরিকদের একাংশ সমালোচনায় ফেটে পড়েন। ধর্ষণ, যৌনতা, বেকারত্বের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পাওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন তারা। কেউ মন্তব্য করেন, যৌনতা নারী ও পুরুষ উভয়ের সহজাত প্রবৃত্তি। কিন্তু ধর্ষণ নয়। কারও কটাক্ষ সাইকোলজি, বায়োলজি, স্যোশিওলজি পড়ে দেখুন কাটজু। এক নেট নাগরিক ফিরে গিয়েছেন নির্ভয়া কাণ্ডে। লিখেছেন, নির্ভয়ার ধর্ষণকারীরা সকলেই রোজগেরে ছিল। আরেকজনের প্রশ্ন, উনি কী করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ছিলেন!
সমালোচনার মুখে পড়ে ফের পোস্ট করেন কাটজু। ট্যুইট করেন, ’’আমাকে কি না বলা হল, ধর্ষকের সমর্থনকারী, যৌনতাবাদী... আরও কত কী। কিন্তু আমি ভুলটা কী বলেছি। বেকারত্ব না কমলে ধর্ষণ কমবে না। বেকারত্ব ধর্ষণের একমাত্র কারণ নয় ঠিকই, কিন্তু অন্যতম কারণ তো বটে।‘‘
কাটজুর কোনও সাফাই আগুনে জল ঢালতে পারেনি। বিতর্কের পারদ ক্রমেই চড়ছে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement