Boris Johnson In India: 'আমার হাতে ভারতীয় টিকা---ধন্যবাদ ভারত', ভূয়সী প্রশংসা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর
UK PM In India: নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাশে নিয়ে ভারতে তৈরি কোভিড ভ্যাকসিনের সুখ্যাতি করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পাশাপাশি ভারতকে ফার্মাসি অফ ওয়ার্ল্ড বলেও সম্বোধন করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
নয়াদিল্লি: 'ভারতে তৈরি কোভিড ভ্যাকসিন নিয়েছি আমি। আমার হাতে ভারতীয় ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ধন্য়বাদ ভারত।' নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) পাশে নিয়ে এভাবেই ভারতে তৈরি কোভিড ভ্যাকসিনের সুখ্যাতি করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। পাশাপাশি ভারতকে ফার্মাসি অফ ওয়ার্ল্ড (Pharmacy of World) বলেও সম্বোধন করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
#WATCH I've the Indian jab (COVID19 vaccine) in my arm, and it did me good. Many thanks to India, says British PM Boris Johnson in Delhi pic.twitter.com/LiinvUCACB
— ANI (@ANI) April 22, 2022
কোন ভ্যাকসিন:
ভারতের সংস্থা সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া (Serum Institute of India) এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার (AstraZeneca) যৌথ উদ্যোগে ভারতেই তৈরি হয়েছে কোভিডের টিকা।
নানা বিষয়ে আলোচনা:
দুদিনের সফরে ভারতে এসেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। একাধিক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। বিজ্ঞান, শক্তি এবং প্রতিরক্ষা (defence)নিয়ে কথা হয়েছে। কূটনীতি এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও কথা হয়েছে। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ইন্দো-প্যাসিফিক (Indo-Pacific) এলাকায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে।
বৃহস্পতিবারই ভারতের মাটিতে পা রাখেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। গুজরাতে যান তিনি। সেখানে একাধিক জায়গায় গিয়েছেন বরিস জনসন। এতদিন বক্তব্যে সেই কথাই তুলে ধরেন বরিস। গুজরাতে তাঁর অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি। নিজেকে সচিন তেন্ডুলকর মনে হয়েছে তাঁর, বলেন বরিস।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই সরাসরি রাশিয়াবিরোধী অবস্থান নিয়েছে ব্রিটেন। আমেরিকার পথেই হেঁটেছে বরিস জনসনের সরকার। সেই তুলনায় প্রথম থেকেই রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে ভারত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এখনও উত্তপ্ত আন্তর্জাতিক রাজনীতি। সেই পরিস্থিতিতে ভারতে বরিসের সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ৩০ এপ্রিল নয়াদিল্লিতে মোদি-মমতার বৈঠক, আলোচনায় থাকছে কী?