ICC Player of Month Award: অস্ট্রেলিয়ায় দুরন্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি, আইসিসি-র মাসের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার ঋষভ পন্থকে
গত জানুয়ারি মাসে দুরন্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি। ভারতের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থকে ‘প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ’ পুরস্কারে সম্মানিত করল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে সিডনি টেস্টে ৯৭ এবং ব্রিসবেনে অপরাজিত ৮৯ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছিলেন ভারতের এই তরুণ ক্রিকেটার।
নয়াদিল্লি: গত জানুয়ারি মাসে দুরন্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি। ভারতের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থকে ‘প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ’ পুরস্কারে সম্মানিত করল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে সিডনি টেস্টে ৯৭ এবং ব্রিসবেনে অপরাজিত ৮৯ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছিলেন ভারতের এই তরুণ ক্রিকেটার। তাঁর দুরন্ত পারফরম্যান্স অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের ২-১ সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। ওই সিরিজে ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান এসেছিল পন্থের ব্যাট থেকেই।
আইসিসি এই পুরস্কার প্রথম চালু করল। আর প্রথম প্লেয়ার হিসেবে এই সম্মান পেলেন পন্থ। পুরস্কারের ঘোষণা করে এক প্রেস বিবৃতিতে আইসিসি বলেছে, ২০২১-এর জানুয়ারির ‘প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ’-এর পুরস্কার জিতেছেন ভারতের ঋষভ পন্থ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুটি টেস্টে সিডনিতে ৯৭ ও ব্রিসবেনে অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এই পারফরম্যান্সের জন্য তাঁকে ‘প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ’ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
আইসিসি-র এই পুরস্কারের প্রতিক্রিয়ায় পন্থ বলেছেন, দলের সাফল্যে অবদান রাখতে পারা দারুণ ব্যাপার। এ ধরনের উদ্যোগের জন্য আইসিসি-কে ধন্যবাদ। এরফলে মাঠে নেমে আরও ভালো পারফর্ম করতে অনুপ্রেরণা পাবেন তরুণ ক্রিকেটাররা।
পন্থ তাঁর এই পুরস্কার দলের সহ খেলোয়াড়দের উৎসর্গ করেছেন, যাঁরা ডাউনআন্ডারে ভারতের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
আইসিসি প্রেস রিলিজ অনুযায়ী পন্থ বলেছেন, আইসিসি-র পুরুষ প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ-এর প্রথম পুরস্কার পেয়ে আমি উচ্ছ্বসিত। যে কোনও ক্রীড়াবিদের কাছেই দলের জয়ে অবদান রাখতে পারাটাই সবচেয়ে বড় পুরস্কার। কিন্তু এ ধরনের উদ্যোগ আমার মতো তরুণ ক্রিকেটারদের প্রত্যেকবার মাঠে নেমে ভালো পারফর্ম করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। আমি এই পুরস্কার টিম ইন্ডিয়ার প্রত্যেক খেলোয়াড়কে উৎসর্গ করছি, যাঁরা অস্ট্রেলিয়ায় দলের জয়ে অবদান রেখেছেন। সেইসঙ্গে যে অনুরাগীরা আমার জন্য আমার জন্য ভোট দিয়েছেন, তাঁদেরও ধন্যবাদ জানাই।
সিডনি ও ব্রিসবেনে দুটি ইনিংসেই চাপের মুখে ব্যাট করতে নেমেছিলেন পন্থ। সেখানে দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের পাল্টা আক্রমণ করেন তিনি। সিডনিতে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে প্যাট কামিন্স, জস হ্যাজেলউড ও স্পিনার নাথন লায়নের মতো বোলারদের নিয়ে গড়া বোলিং অ্যাটাকের বিরুদ্ধে তাঁর ৯৭ রানের ইনিংস ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়েছিল। একটা সময় তো ভারত জয়ের গন্ধও পেতে শুরু করেছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। কিন্তু ভারত ওই টেস্ট ড্র করতে পেরেছিল।
গাব্বায় সিরিজ নির্ণায়ক টেস্টে বিগত টেস্টের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে দলকে একেবারে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছিলেন। ৮৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আর ব্রিসবেন টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজ জিতেছিল ভারত।
মহিলা ক্রিকেটারদের মধ্যে এই পুরস্কার জিতেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার শাবনিম ইসমাইল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের সিরিজে দুরন্ত পারফরম্যান্সের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেম তিনি। সিরিজে সাত উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি ২০-তে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।