India News:উপার্জন কোটি টাকার বেশি, উত্তরপ্রদেশের ইউটিউবারের বাড়িতে অভিযান আয়কর দফতরের
Income Tax Raid: পেশায় ইউটিউবার, তাও প্রায় ১ কোটি টাকা আয়? সন্দেহ হয়েছিল আয়কর দফতরের। অতএব অভিযান। আয়কর দফতরের আধিকারিকদের দাবি, উত্তরপ্রদেশের ওই ইউটিউবারের বাড়ি থেকে নগদ ২৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে।
নয়াদিল্লি: পেশায় ইউটিউবার (Youtuber), তাও প্রায় ১ কোটি টাকা আয়? সন্দেহ হয়েছিল আয়কর দফতরের (Income Tax Department)। অতএব অভিযান। আয়কর দফতরের আধিকারিকদের দাবি, উত্তরপ্রদেশের (UP) ওই ইউটিউবারের বাড়ি থেকে নগদ ২৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। শুধু তাই নয়। যে কোটি টাকা আয়ের কথা তাঁরা জানতে পেরেছেন, তা বেআইনি পথে উপার্জন করা, দাবি আয়কর দফতরের আধিকারিকদের। তসলিম নামে ওই ইউটিউবারের পরিবার এই দাবি মানতে নারাজ। তবে উত্তরপ্রদেশের বরেলির এই ঘটনায় দিকে দিকে হইচই পড়ে যায়।
কী ঘটেছিল?
তসলিমের ভাই ফিরোজের দাবি, দাদা শেয়ার মার্কেটের নানা বিষয় নিয়ে ইউটিউব ভিডিও করেন। সেই ভিডিও থেকে যে উপার্জন হয়, তার ভিত্তিতে আয়করও জমা দেন তসলিম। 'Trading Hub 3.0', এই অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিও ম্যানেজ করেন অভিযুক্ত ইউটিউবার, জানিয়েছেন ফিরোজ। পরিবারের দাবি, ইউটিউব থেকে তসলিমের যে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার আয় হয়েছিল, তার উপর ৪ লক্ষ টাকা আয়কর জমা দেওয়া হয়। ফিরোজের কথায়, 'আমরা কোনও অন্যায় করিনি। নিজস্ব ইউটিউব চ্য়ানেল চালাই। সেখান থেকে ভাল উপার্জন হয়, এটাই সত্য়ি। এই অভিযান ভেবেচিন্তে করা ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়।' এক দাবি অভিযুক্ত ইউটিউবারের মায়েরও।
আয়কর দফতরের তৎপরতা...
বেশ কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটারের বিরুদ্ধে হালে তদন্ত শুরু করেছে আয়কর দফতর। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের দাবি, এই ইনফ্লুয়েন্সার এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটাররা তাঁদের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ সঠিক লাভ-ক্ষতির হিসেব দিচ্ছেন না বলে মনে করছে আয়কর দফতর। সূত্রের খবর, এমন বহু কনটেন্ট ক্রিয়েটর নিজেদের ইনকাম ট্য়াক্স রিটার্ন হয় আসল উপার্জনের থেকে অনেক কম উপার্জন অথবা কোনও উপার্জনই দেখাচ্ছেন না। তবে আয়কর দফতরের অনেকেই মনে করেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর কারণ আয়কর আইন সম্পর্কে অনভিজ্ঞতা। পাশাপাশি অন্য একটি দিকও উঠে আসছে। যেমন, ভ্লগারদের আয়কর ঠিক কী ভাবে হওয়া উচিত তা নিয়ে ট্যাক্স বিশেষজ্ঞদের মধ্যেই যথেষ্ট মতানৈক্য রয়েছে। কেউ কেউ যেমন মনে করেন, ভ্লগারদের উদ্যোগপতি হিসেবেই ধরা উচিত। সেক্ষেত্রে তাঁদের আয় ১ কোটি টাকা পেরিয়ে গেলে ট্যাক্স অডিট করা দরকার। কিন্তু ভ্লগাররা তাঁদের নিয়মিত চাকরির পাশাপাশি কনটেন্ট ক্রিয়েশন করতে থাকলে, সেখান থেকে তাঁদের যে উপার্জন হবে তাকে 'ইনকাম ফ্রম আদার সোর্সেস' হিসেবে ধরে আয়করের স্তর অনুযায়ী কর আদায় করতে হবে। অর্থাৎ বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়, বলে মনে করেন অনেকেই। এই অস্পষ্টতা থেকেই সমস্যায় পড়তে হবে না তো তসলিম ও তাঁর মতো আরও কয়েকজনকে?
আরও পড়ুন:অমানবিক ! রাস্তায় নাচতে না চাওয়ায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণকে 'কটূক্তি, মারধর'