Independence Day: স্বাধীনতা দিবসে মাংস নিষিদ্ধ? ১৫ অগাস্টের নির্দেশিকা ঘিরে জোর বিতর্ক
Independence Day Meat Ban: রাজনৈতিক তরজা চরমে।

নয়াদিল্লি: স্বাধীনতা দিবসে মাংস নিষিদ্ধ করা নিয় জোর বিতর্ক। সরাসরি মানুষের খাদ্যাভ্যাসের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ উঠছে। এ নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী শিবিরের রাজনীতিকরা। AIMIM সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি থেকে শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে) নেতা আদিত্য ঠাকরে সমালোচনায় সরব হয়েছেন। স্বাধীনতা দিবসে মানুষের খাদ্যাভ্যাসের স্বাধীনতা হরণের অধিকার কে দিল, প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। (Independence Day)
১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজ্যেের, বিভিন্ন এলাকায় মাংস নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ওই দিন সমস্ত মাংসের দোকান বন্ধ রাখতে হবে। কসাইখানাগুলিও ওইদিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজীনগরেও একই ভাবে মাংস নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই নির্দেশ দিয়েছে ঠাণের কল্যাণ-দোম্বিভ্যালি পুরসভা। কল্যাণ-দোম্বিভ্যালি পুরসভা জানিয়েছে, ১৫ অগাস্ট যদি পশুহত্যা হয়, যদি মাংস বিক্রি হয়, সেক্ষেত্রে মহারাষ্ট্র পুরসভা আইনের আওতায় পদক্ষেপ করা হবে। আর তাতেই তরজা চরমে উঠেছে। (Independence Day Meat Ban)
এমন নির্দেশিকার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওয়েইসি। তাঁর কথায়, ‘১৫ অগাস্ট মাংসের দোকান, কসাইখানা বন্ধ রাখতে যে নির্দেশ দিয়েছে দেশের বিভিন্ন পুরসভা। দুর্ভাজ্যজনক ভাবে হায়দরাবাদ পুরসভার তরফেও এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক পদক্ষেপ। মাংস খাওয়া এবং স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের মধ্যে কী সম্পর্ক? তেলঙ্গানার ৯৯ শতাংশ মানুষ মাংস খান। মাংস নিষিদ্ধ করার অর্থ মানুষের স্বাধীনতা, গোপনীয়তা, জীবনযাপন, সংস্কৃতি, পুষ্টি এবং ধর্মাচারণের অধিকার হরণ’। আগামী ১৬ অগাস্ট, জন্মাষ্টমী উপলক্ষেও হায়দরাবাদে মাংস নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে খবর।
Many municipal corporations across India seemed to have ordered that slaughterhouses and meat shops should be closed on 15th August. Unfortunately, @GHMCOnline has also made a similar order. This is callous and unconstitutional.
— Asaduddin Owaisi (@asadowaisi) August 13, 2025
What’s the connection between eating meat and…
মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ারও একই কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, “নিষেধাজ্ঞা জারি করা ভুল। বড় বড় শহরে নানা জাতের, নানা ধর্মের মানুষের বাস। আবেগের প্রশ্ন মানুষ একদিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা মেনেও নেন। কিন্তু মহারাষ্ট্র দিবস,স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবসে এমন নির্দেশিকা জারি করলে, তা মেনে নেওয়া কঠিন”। শরদ পওয়ারের হাত ছেড়ে নিজের আলাদা দল গঠন করেছিলেন অজিত। মহারাষ্ট্রের এই মুহূর্তে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারে শামিল তিনি।
#WATCH | Mumbai: On Kalyan-Dombivli Municipal Corporation reportedly ordered the closure of all slaughterhouses and meat shops on August 15, Shiv Sena (UBT) MLA Aaditya Thackeray says, "In our house, even on Navratri, our prasad has prawns, fish, because this is our tradition,… pic.twitter.com/ivxVhjHw2i
— ANI (@ANI) August 12, 2025
উদ্ধবপুত্র আদিত্য বলেন, “স্বাধীনতা দিবসে কী খাব, তা ঠিক করার অধিকার এবং স্বাধীনতা রয়েছে আমাদের। কী ভাব, কী খাব না, তা কেউ বলে দেবে না। আমাদের বাড়িতে নবরাত্রির সময় প্রসাদেও চিংড়ি এবং মাছ থাকে। কারণ এটাই আমাদের সংস্কৃতি। এটা আমাদের হিন্দুত্ব। আমাদের বাড়িতে ঢুকছেন কেন? রাস্তার অবস্থা, গর্ত সারানোয় বরং মন দিক পুরসভা।” এমন নির্দেশ দেওয়ার জন্য পুরসভার কমিশনারকে সাসপেন্ড করা উচিত বলেও মত আদিত্যর।






















