CAA Row: 'CAA অসাংবিধানিক, বাদল অধিবেশনেই বাতিল হোক', শাহকে চিঠি অধীরের
Adhir Ranjan Chowdhury: অধীর আরও জানান, একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে নিশানা করতেই CAA-র উৎপত্তি।
নয়াদিল্লি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) বাতিল চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চিঠি লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury)। সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনেই সিএএ বাতিলের দাবি তুলেছেন অধীর। চিঠিতে পাকিস্তান থেকে আসা ৮০০ হিন্দুর উল্লেখ করেছেন তিনি। অধীর জানিয়েছেন, ভারতের নাগরিকত্ব না পেয়ে পাকিস্তান ফিরে যেতে হয়েছে ৮০০ হিন্দুকে। সিএএ সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক, ত্রুটিযুক্ত, তার জন্যই বিগত দু'ছরে তা কার্যকর সম্ভব হয়নি বলেও অভিযোগ করেন অধীর।
CAA বাতিলের দাবি অধীরের
শাহের উদ্দেশে ওই চিঠিতে অধীর লেখেন, 'CAA নামক ত্রুটিপূর্ণ আইনটি দু'বছর হল সংসদে পাস করিয়েছেন আপনারা। তার পরেও এখনও পর্যন্ত আইনটি কার্যকর করতে পারেননি আপনারা কারণ আইনটি সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। তার জন্যই আশাহত হয়ে, অবসন্ন মনে পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুদের ফিরে যেতে হচ্ছে।'
অধীর আরও জানান, একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে নিশানা করতেই CAA-র উৎপত্তি। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ এবং সামাজিক ন্যায়পরায়ণাকে সামনে রেখে এই আইন কার্যকর করা উচিত নয় বলে যুক্তি দেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন, দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলনের জেরে যা বাতিল করতে হয়, তার উদাহরণও টানেন অধীর।
আরও পড়ুন: IAS Pooja Singhal Arrested: নগদে উদ্ধার ১৯.৩১ কোটি, নয়ছয় MGNREGA-র টাকা, গ্রেফতার IAS কন্যা পূজা
উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন CAA নিয়ে উচ্চবাচ্য না করলেও সম্প্রতি বাংলায় এসে ফের সেই প্রসঙ্গ উস্কে দেন শাহ। বিজেপি-র আয়োজিত একটি সভা থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে শাহ বলেন, "সিএএ চালু করা হবে না বলে গুজব রটাচ্ছে তৃণমূল। আজ স্পষ্ট বলে যাচ্ছি আমি, করোনার ঢেউ থিতিয়ে এলেই সিএএ কার্যকর করতে শুরু করবে সরকার। মমতাদি আপনি কি চান অনুপ্রবেশ চলুক? শরণার্থীরা নাগরিকত্ব না পান? কান খুলে শুনে নিন তৃণমূলীরা, সিএএ বাস্তবিক ছিল, আছে এবং আগামী দিনেও থাকবে।" যদিও তার পাল্টা মমতা প্রশ্ন তোলেন, যাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলছে কেন্দ্র, তাঁরা নাগরিক না হলে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করলেন কী ভাবে?
CAA নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন
বুধবার অসমে গিয়ে এ নিয়ে শাহকে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "বাংলায় CAA কার্যকর করা নিয়ে সরব হলেও, অসমে কেন এই ইস্যুতে চুপ রইলেন অমিত শাহ?" যদিও বাংলায় রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, শত চেষ্টা করেও CAA আটকানো যাবে না।