Amarnath Yatra: দুঃস্বপ্নের প্রহর কাটেনি, এর মধ্যেই আবার শুরু হল অমরনাথ যাত্রা
Amarnath: এর মধ্যেই আজ থেকে ফের শুরু হল অমরনাথ যাত্রা। কাশ্মীরের পহেলগাম বেস ক্যাম্প থেকে রওনা দিলেন পুণ্যার্থীদের নতুন একটি দল। মেঘ ভাঙা বৃষ্টির কারণে আংশিক বন্ধ ছিল অমরনাথ যাত্রা।
অমরনাথ: হড়পা বান (Cloud Burst Rain)-বিপর্যয়ের পর. চারদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও নিখোঁজ ৪১ জন পুণ্যার্থী। চলছে উদ্ধারকাজ। এর মধ্যেই আজ থেকে ফের শুরু হল অমরনাথ যাত্রা। কাশ্মীরের পহেলগাম বেস ক্যাম্প থেকে রওনা দিলেন পুণ্যার্থীদের নতুন একটি দল। মেঘ ভাঙা বৃষ্টির কারণে আংশিক বন্ধ ছিল অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra)।
ধাক্কা সামলে: গত শুক্রবার মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে চরম সঙ্কটের তৈরি হয় অমরনাথে (Amarnath)। ইতিমধ্যেই রাজ্যের এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। এখনও খোঁজ মেলেনি অনেকের। তবে এই ধাক্কা সামলে আবারও শুরু হল অমরনাথ যাত্রা। সোমবার সকালে নুনওয়ান পহেলগাঁও (Pahalgam) এলাকা থেকে শুরু হল তীর্থযাত্রা। জম্মুর (Jammu) বেস ক্যাম্প থেকেও তীর্থযাত্রীদের একটি দল রওনা দিয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: Amarnath Yatra : ' কখনও বলছিল নাম নেই ডেড-লিস্টে, আবার কখনও....' অবশেষে স্বস্তি?
অমরনাথে বিপর্যয়: ৮ জুলাই মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে যায় পুণ্যার্থীদের ২৫টি ক্যাম্প। প্রথম দিনেই ১৫ জনের মৃত্যুর খবর আসে। উদ্ধারকাজ শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। তারপরেই স্থগিত করে দেওয়া হয় অমরনাথ যাত্রা। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ জম্মু-কাশ্মীরের অমরনাথ গুহার কাছে হঠাত্ শুরু হয় মেঘভাঙা বৃষ্টি। মুহূর্তের মধ্যে ভেসে যায় পুণ্যার্থীদের ক্যাম্প। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধার কাজে হাত লাগায় NDRF। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। পরিস্থিতি নিয়ে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।দুর্ঘটনা সম্পর্কে খবরাখবরের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে NDRF।
ফিরল দেহ: আজই রাজ্যে ফিরল অমরনাথ-বিপর্যয়ে মৃত বর্ষা মুহুরির কফিনবন্দি দেহ। ১৬ জুলাই ফেরার কথা ছিল বাড়িতে। তবে তার পাঁচ দিন আগে অর্থাৎ গতকাল রাত দেড়টা নাগাদ দিল্লি থেকে ইন্ডিগোর বিমানে কলকাতায় পৌঁছয় মুহুরি পরিবার। পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় হুইল চেয়ারে বসে বের হন বর্ষার মা নিবেদিতা মুহুরি।কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। পায়ে চোট রয়েছে বর্ষার মামা সুব্রত চৌধুরীরও। এরপর রাত ৩টে নাগাদ বিমানবন্দর থেকে শববাহী গাড়ি রওনা দেয় বারুইপুরে চক্রবর্তী পাড়ার উদ্দেশে। ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ বাড়িতে পৌঁছয় বর্ষার দেহ। হাজির ছিলেন আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীরা। এরপর বারুইপুর শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। গোটা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন বারুইপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাস।