Train Services: তীব্র গরমে বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ, ৬০০-র বেশি ট্রেন বাতিল করে সুরাহার চেষ্টা কেন্দ্রের!
Coal Crisis: প্রতিবছরই এপ্রিল মাসে বিদ্যুতের চাহিদা তুলনামূলক বেশিই থাকে। কিন্তু এ বার সমস্যা বাড়িয়েছে বিদ্যুত্কেন্দ্রগুলিতে মজুত কয়লার অপ্রতুলতা।
নয়াদিল্লি: তীব্র গরমে (Heat Wave) দেশ জুড়ে বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চে গিয়ে ঠেকেছে। তাতে টান পড়েছে মজুত করে রাখা কয়লা (Coal Crisis)। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাই ৬০০-র বেশি ট্রেন বাতিল (Trains Canceled) করল কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক (Rail Ministry)। তার মধ্যে দূরপাল্লার ট্রেন যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে মেমু ট্রেনও। তাতে মুশকিল বাড়ল সাধারণ মানুষেরই। বেড়াতে যাওয়ার মরশুমে ট্রেন বাতিল হওয়ায় যেমন বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা, তেমনই নিত্যযাত্রীদেরও হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে।
ট্রেন পরিষেবায় কোপ
কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে যে ভাবে দেশ জুড়ে ব্যাটিং করছে দাবদাহ, তাতে হাঁসফাঁস করছেন সাধারণ মানুষ। ফলে ঘরে ঘরে ফ্যান, এসি চলছে। তার জেরে একলাফে বিদ্যুতের চাহিদা সর্বকালীন উচ্চতায় গিয়ে ঠেকেছে (Electricity Demand)। শুক্রবার গোটা দেশে ২ লক্ষ ৭ হাজার ১১১ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা ছিল। মূলত দুুপুর ২টো বেজে ৫০ মিনিট থেকেই এই চাহিদা তৈরি হয়। সেই চাহিদার জোগান দিতে হিমশিম খেতে হয় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিকে। ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দীর্ঘ ক্ষণ লোডশেডিং দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: SBI SO Recruitment 2022: ২৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বেতন, স্টেট ব্যাঙ্ক জারি করল বিজ্ঞপ্তি
এমনিতে প্রতিবছরই এপ্রিল মাসে বিদ্যুতের চাহিদা তুলনামূলক বেশিই থাকে। কিন্তু এ বার সমস্যা বাড়িয়েছে বিদ্যুত্কেন্দ্রগুলিতে মজুত কয়লার অপ্রতুলতা। কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানিয়েছেন, দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে আগামী ১০ দিনেরই কয়লা মজুত রয়েছে। সেই কারণেই বিদ্যুত্কেন্দ্রগুলিতে কয়লা পৌঁছে দিতে ট্রেনের সংখ্যায় কাটছাঁট করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে ৬৫৭টি ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক। বেড়ানোর মরশুমে ৫০৯টি মেল বা এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ১৪৮টি মেমুও।
কয়লা মজুতে গাফিলতি!
Government has found the perfect solution: cancel passenger trains and run coal rakes!
— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) April 30, 2022
Modi hai, mumkin hai.
তবে ভারতীয় রেলের একজিকিউটিভ ডিরেক্টর গৌরবকৃষ্ণ বনসল জানিয়েছেন, এটা সাময়িক ব্যবস্থা। শীঘ্রই ট্রেন পরিষেবা ফের স্বাভাবিক হয়ে যাবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে দ্রুত কয়লা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে রেলের তরফে আশ্বাস দেওয়া হলেও, বিষয়টি ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়েছে। কারণ সেন্ট্রাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি প্রদত্ত হিসেব অনুযায়ী, দেশের ১৬৫টি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে ৫৬টিতে ১০ শতাংশ বা তারও কম কয়লা মজুত রয়েছে। ২৬টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মজুত করে রাখা কয়লার পরিমাণ ৫ শতাংশেরও কম, যা দিয়ে একদিন চালানো সম্ভব। অথচ তাপবিদ্য়ুৎকেন্দ্রগুলিতে অন্তত ২১ দিনের কয়লা মজুত রাখতে হয়। তাই গোটা ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন দিল্লির বিদ্যুৎমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। এতে মেট্রো বা সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা বিপদগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এ নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। টুইটারে তিনি লেখেন, 'একেবারে আদর্শ সুরাহা বার করে ফেলেছে সরকা: যাত্রীবাসী ট্রেন বাতিল করে শুধু কয়লার ট্রেন চালানো হবে। মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়।'