Assam Flood Situation: ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু তিন শিশুর, জলের তোড়ে ভেসে গেলেন তিন পুলিশকর্মী, অসমের বন্যায় মৃত ৭১ জন
Assam Flood: রবিবার রাতে মধ্য অসমের নগাঁও জেলায় বন্য়ার জলে ভেসে গিয়েছেন তিন পুলিশকর্মী (Assam Waterlogged)। কামপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
গুয়াহাটি: পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষণ নেই। বরং অসমে বন্যা (Assam Flood Situation) পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিন শিশু-সহ আরও ন’জনের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। তাতে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭১ হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ন’জনের মধ্যে বন্যায় মৃত্য়ু হয়েছে ছ’জনের। বাকি তিন জন মারা গিয়েছেন ধসে চাপা পড়ে। ধসের তিনটি ঘটনাই ঘটেছে কাছার জেলায় (Assam Landslide)।
বন্যা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর অসমে
শুধু তাই নয়, রবিবার রাতে মধ্য অসমের নগাঁও জেলায় বন্য়ার জলে ভেসে গিয়েছেন তিন পুলিশকর্মী (Assam Waterlogged)। কামপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি মামলার তদন্তে কামপুর থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে ওই এলাকায় গিয়েছিল পুলিশের একটি দল। কিন্তু অফিসার নিজে এবং বাকি দুই পুলিশকর্মীই বন্যার জলের তোড়ে ভেসে যান। তাঁদের মধ্যে এক কনস্টেবলের দেহ উদ্ধার হয়েছে। অফিসার ইনচার্জ এবং আরও এক জন এখনও নিখোঁজ। নিখোঁজ অফিসার ইনচার্জের নাম রাজীব বরদোলোই। নিখোঁজ পুলিশ কর্মীর নাম সমুজ্জল কাকাটি। সবমিলিয়ে বন্যা পরিস্থিতিতে এখনও পর্যন্ত অসমে আট জনের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর মিলেছে।
আরও পড়ুন: Agnipath Protest: অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় ২৪ ঘণ্টার ভারত বনধের ডাক
রবিবার সন্ধেয় হাতে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, অসমের বন্যায় এখনও পর্যন্ত ৪২ লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কাছার, বরপেটা, দু’ জায়গাতেই দু’জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মিলেছে। বাজালি, কামরুপ থেকে এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মিলেছে। নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল এবং পুলিশের দল।
লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে অসম-সহ উত্তর-পূর্বের ত্রিপুরা, মেঘালয়, অরুণাচলপ্রদেশের মতো রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, বেকি, মানস, পাগলাডিয়া, পুঠিমারি, কপিলি, জিয়া-ভরালি নদীর জলস্তর বিপদসীমার উপরে রয়েছে। অসমের বাজালি, বকসা, বিশ্বনাথ, বনগাইগাঁও, কাছার, দারং, ধেমাজি, ধুবরি, ডিব্রুগড়, ডিমা হাসাও, গোয়ালপাড়া, হোজাই, কামরুপ, সাউথ সালমারা, তমুলপুর, তিনসুকিয়া, উদরগুড়ি-সহ ৩৩টি জেলার পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগের।
জায়গায় জায়গায় ধস
শনিবার রাতেও কাছারে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় দু’জনের। বডা়খাই চা বাগান এলাকায় মাটির একটি বড় অংশ পাহাড় থেকে খসে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। সমতলে একটি বাড়ির উপর গিয়ে পড়ে সেটি। সেখান থেকেই দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়।