Congress President Election : পরবর্তী সভাপতি নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা কংগ্রেসের
Congress News Update : শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিদেশের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গাঁধী
নয়া দিল্লি : সম্প্রতি দল ছেড়েছেন গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। দলীয় সংগঠনের অবস্থাও উল্লেখযোগ্য জায়গায় নেই। একাধিক ইস্যু থাকা সত্ত্বে বিজেপির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে সেভাবে পথে নামতে দেখা যাচ্ছে না কর্মী-সমর্থকদের। এদিকে দলের একাংশের মধ্যেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে রদবদলের দাবি উঠেছে। এই আবহেই এবার কংগ্রেসের (Congress) পরবর্তী সভাপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে ফেলল দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারক কমিটি ওয়ার্কিং কমিটি। বহু প্রতীক্ষিত সেই নির্বাচন হবে আগামী ১৭ অক্টোবর। এবং এর গণনা সম্পন্ন হবে ১৯ অক্টোবর।
কোথায় দাঁড়িয়ে কংগ্রেস ?
শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিদেশের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গাঁধী (Sonia Gandhi)। কিন্তু, ভার্চুয়ালি তিনি বৈঠকে যোগ দেন এবং সভাপতিত্ব করেন। ভার্চুয়ালি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গাঁধীও এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। ছিলেন দলের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতা।
আরও পড়ুন ; চিঠিতে নিশানা রাহুল গাঁধীকে, সঙ্গে একরাশ অভিযোগ গুলামের
গুলাম নবি আজাদের পদত্যাগের আবহে কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি নির্বাচন একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয় হতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রের খবর, রাহুল গাঁধী সভাপতি পদপ্রার্থী হতে চান না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। যদিও এবারও তাঁকে রাজি করানোর জন্য় সব রকমের প্রয়াসই জারি রয়েছে। এদিকে সময়ে নির্বাচন শেষ করতে চাইছে সেন্ট্রাল ইলেকশন অথরিটি।
এর পাশাপাশি 'কাঁটার' মতো বিঁধে রয়েছে গুলাম নবি আজাদের পদত্যাগও। তিনি অভিযোগ করেছেন, এখনকার নেতৃত্বের অধীনে কংগ্রেস যাবতীয় ইচ্ছা ও ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় এই নেতার মতে, জাতীয় স্তরে বিজেপির কাছে রাজনৈতিক জমি খুইয়েছে কংগ্রেস। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলির কাছেও কংগ্রেস জমি হারিয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।
উল্লেখ্য, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে 'ভারত জোড়ো যাত্রা' কর্মসূচি গ্রহণ করতে চলেছে কংগ্রেস। কন্যাকুমারী থেকে সেই যাত্রা শুরু হবে। ১৪৮ দিনের এই কর্মসূচি কাশ্মীরে গিয়ে শেষ হবে। ৫ মাসের এই যাত্রাপথে সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার রাস্তা ও ১২টি রাজ্যকে অতিক্রম করবে কংগ্রেস। প্রতিদিন ২৫ কিলোমিটার করে হবে যাত্রা। এই কর্মসূচির আওতায় থাকবে মিছিল-সমাবেশও। যাতে যোগ দেবেন সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কারাও।