ফিরোজাবাদে বাড়ছে ভাইরাল জ্বরের আতঙ্ক, কেন্দ্রীয় রিপোর্টে 'ডেঙ্গি'র উল্লেখ
"বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর কারণে এবং কয়েকটি স্ক্রাব টাইফাস এবং লেপটোস্পাইরোসিসের কারণে মৃত্যু ঘটেছে।"
নয়া দিল্লি: এক অজানা জ্বরের প্রভাবে উত্তরপ্রদেশে ক্রমেই বাড়ছে চিন্তা। করোনার মধ্যেই এই অজানা জ্বর নিয়ে যোগীরাজ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিবকে লেখা একটি চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন যে কেন্দ্রীয় দলের তদন্তে দেখা গেছে যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ফিরোজাবাদ জেলায় শিশুদের মধ্যে ভাইরাল জ্বর এবং মৃত্যুর বেশিরভাগ ঘটনা ঘটেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী তার চিঠিতে লিখেছেন, "কেন্দ্রীয় দল পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর কারণে এবং কয়েকটি স্ক্রাব টাইফাস এবং লেপটোস্পাইরোসিসের কারণে মৃত্যু ঘটেছে।" এটিকে কোনওরকম অজানা জ্বর বলতে নারাজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। যদিও ফিরোজাবাদের জেলা হাসপাতালে এবং পার্শ্ববর্তী জেলায় নজরদারি জোরদার করা হচ্ছে যাতে সংক্রমণ বেশি না ছড়ায়।
ডেঙ্গু এবং ভাইরাল জ্বরে উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদ জেলায় ১৪ দিনের মধ্যে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ২৪০টি শিশু ভর্তি ছিল। সকলেই ডায়েরিয়া ও বমির উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন ভর্তি হওয়া ওই শিশুদের মধ্যে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার উপসর্গও রয়েছে।
এত শিশু একসঙ্গে অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়ায় ওই হাসপাতালে জায়গার অভাব দেখা দিয়েছে। বেড সঙ্কটও চরমে উঠেছিল। তবে উত্তরপ্রদেশের জেলায় জেলায় ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চন্দ্র বিজয় সিংহ স্বাস্থ্য ও পৌর কর্পোরেশনের আধিকারিকদের পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ফিরোজাবাদের জেলাশাসক চন্দ্রবিজয় সিংহ ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি সমস্ত স্কুলের প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
ফিরোজাবাদ ছাড়াও, চিফ মেডিক্যাল অফিসার (সিএমও) ড নানক সারান রবিবার জানিয়েছিলেন যে দীর্ঘস্থায়ী রোগ এবং এনসেফালাইটিস এবং নিউমোনিয়ার মতো ভাইরাল জ্বরের কারণে ১৭০টিরও বেশি শিশু উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের মতিলাল নেহেরু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।