Kumbh Mela 2021: চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা, কুম্ভমেলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ আইনজীবী
কুম্ভমেলায় ৩০ জন সাধুর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে আজ জুনা আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী অদ্ধেশ্বানন্দ গিরিকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সংক্রমিত সাধুদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। পাশাপাশি প্যানডেমিকের কথা মাথায় রেখে এবার প্রতীকী ধর্মীয় জমায়েতের অনুরোধ করেন।
নয়াদিল্লি : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রায় রোজই রেকর্ড সংক্রমণ হচ্ছে দেশজুড়ে। জমায়েত এড়াতে বলছেন চিকিৎসকরা। তা সত্ত্বেও কুম্ভ মেলায় জমায়েত করে ইতিমধ্যেই করোনায় আক্রান্ত ৩০ জন সাধু। এই পরিস্থিতিতে কুম্ভ মেলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক আইনজীবী।
শীর্ষ আদালতে তিনি আবেদন জানিয়েছেন, হরিদ্বারে কুম্ভমেলায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে যে সব বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে তা যেন এখনই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এই মর্মে আদালত যাতে কেন্দ্রীয় ও উত্তরাখণ্ড সরকারকে নির্দেশ দেয় সেই আবেদন জানান তিনি।
এদিকে কুম্ভমেলায় ৩০ জন সাধুর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে আজ জুনা আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী অদ্ধেশ্বানন্দ গিরিকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সংক্রমিত সাধুদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। পাশাপাশি প্যানডেমিকের কথা মাথায় রেখে এবার প্রতীকী ধর্মীয় জমায়েতের অনুরোধ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী হিন্দিতে টুইট করেন। লেখেন, সব সাধুর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে আজ স্বামী অদ্ধেশ্বানন্দ গিরিজিকে ফোন করেছিলাম। সাধুরা প্রশাসনকে সব রকম সাহায্য করছেন। এজন্য আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।
অপর একটি টুইটে তিনি লেখেন, দুটি শাহি স্নান হয়ে গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতির জন্য যাতে প্রতীকী কুম্ভমেলা করা হয় সেই অনুরোধ জানিয়েছি। তাতে এই সংকটের বিরুদ্ধে লড়াই শক্তিশালী হবে।
প্রধানমন্ত্রীর আবেদন সাড়া দেন স্বামী অদ্ধেশ্বানন্দ গিরিজি। তিনিও হিন্দিতে টুইট করে লেখেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধকে সম্মান জানাই। জীবন সুরক্ষিত করা মহান ধর্ম। ধার্মিক মানুষদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা স্নানের জন্য বিশাল সংখ্যায় জমায়েত করবেন না। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নিয়ম-কানুন মানুন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার হরিদ্বারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এসকে ঝা একটি সংবাদ সংস্থা-কে জানান, হরিদ্বারে এখনও পর্যন্ত ৩০ জন সাধু করোনায় আক্রান্ত। প্রতিটি আখড়ায় যাচ্ছে আমাদের মেডিকেল টিম। এবং সাধুদের ক্রমাগত আরটি-পিসিআর টেস্ট করা হচ্ছে। ১৭ এপ্রিল থেকে এই প্রক্রিয়া ত্বরাণ্বিত করা হবে।
পাশাপাশি সিএমও জানান, হরিদ্বার থেকে যে সব কোভিড পজিটিভ রোগী আসছেন তাঁদের তাঁদের হোম কোয়ারানটিনে পাঠানো হচ্ছে। আর যাঁরা বাইরে থেকে আসছেন তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। সংকটজনক রোগীদের ঋষিকেশের এইমস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।
যদিও আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিত নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।