Indian Passport: তিন ধাপ উঠলেও, ভারতীয় পাসপোর্ট 'দুর্বল'-ই, গুরুত্বের নিরিখে ৮৭তম স্থানে
Most Powerful Passports: অতিমারির আগে পাসপোর্ট সূচকে কার্যত দাপাদাপি ছিল ইউরোপীয় দেশগুলির। কিন্তু বিগত দুই বছরে অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। স
নয়াদিল্লি: সামান্য উন্নতি ঘটলেও, বিশ্বসূচকে দুর্বলই হয়ে রইল ভারতীয় পাসপোর্ট। করোনা অতিমারি পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতি যখন ধুঁকছে, সেই সময় এমনই পরিসংখ্যান সামনে এল। পাসপোর্টের গুরুত্বে কোন দেশ কোথায়, তার তালিকা প্রকাশ করেছে অভিবাসন সংক্রান্ত পরামর্শদাতা সংস্থা হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স। তাদের পাসপোর্ট সূচকে কোন দেশের পাসপোর্ট সবচেয়ে শক্তিশালী এবং কোন দেশের পাসপোর্ট দুর্বল, ২০২২-র ক্রমাঙ্ক প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে ৮৭তম স্থানে জায়গা পেয়েছে ভারত। ২০২১-এ ৯০তম স্থানে ছিল।
পাসপোর্টের শক্তির নিরিখে এখনও দুর্বল ভারত
অতিমারির আগে পাসপোর্ট সূচকে কার্যত দাপাদাপি ছিল ইউরোপীয় দেশগুলির। কিন্তু বিগত দুই বছরে অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাসপোর্টের শক্তিবৃদ্ধিতে একেবারে শীর্ষে রয়েছে জাপান। যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর এবং দক্ষিণ কোরিয়া। তৃতীয় স্থানে রয়েছে জার্মানি এবং স্পেন। অর্থাৎ জাপানের পাসপোর্ট বিশ্বের ১৯৩টি দেশে কোনও সমস্যাতেই পড়তে হয় না। অর্থাৎ জাপানের পাসপোর্ট নিয়ে ১৯৩টি দেশে অগ্রিম ভিসা ছাড়াও যাওয়া সম্ভব, আবার গিয়েও বৈদ্যুতিন ছাড়পত্র জোগাড় করা সম্ভব।
সিঙ্গাপুর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পাসপোর্ট নিয়ে ১৯২টি দেশে ঝামেলামুক্ত সফর সম্ভব। জার্মানি এবং স্পেনের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ১৯০। এই তালিকায় ৬৯তম স্থানে রয়েছে চিন। সে দেশের পাসপোর্টে ৮০টি দেশে ঝামেলা পোহাতে হয় না। ভারত রয়েছে ৮৭তম স্থানে। ৬০টি দেশে ভারতের পাসপোর্ট নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয় না। গত বছর পর্যন্ত ৫৮টি দেশে ভিসা ছাড়া যাওয়া যেত। এই তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে আমেরিকা। ১৮৬টি দেশে আমেরিকার পাসপোর্ট নিয়ে সহজেই ঢোকা যায়। ব্রিটেন ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। সে দেশের পাসপোর্চ নিয়ে ১৮৭ দেশে সহজে ঢোকা যায়।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণাকারী দেশ রাশিয়া এই তালিকায় ৫০তম স্থানে রয়েছে। তাদের পাসপোর্ট নিয়ে ১১৯টি দেশে সহজেই প্রবেশ করা যায়। এই তালিকায় একেবারে শেষে, ১১২তম স্থানে রয়েছে আফগানিস্তান। তাদের পাসপোর্ট নিয়ে ২৭টি দেশে ঝামেলা ছাড়াই ঢোকা যায়। ভারতে প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশ ১০৪, নেপাল ১০৬, ভুটান ৯৩, মায়ানমার ৯৯ এবং শ্রীলঙ্কা ১০৩তম স্থানে রয়েছে।
পাঁচ বছর আগে পর্যন্ত এশিয়ার অন্তর্গত কোনও দেশের পাসপোর্ট এই সূচকে প্রথম দশে জায়গা পেত না। কিন্তু গত কয়েক বছরে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পাল্টে গিয়েছে। ইউরোপীয় দেশগুলি তালিকায় যত পিছু হটেছে, ততই এগিয়েছে এশিয়ার দেশগুলি। জার্মানির মতো দেশও এখন দক্ষিণ কোরিয়ার থেকে পিছিয়ে।
ইউরোপকে পিছনে ফেলছে এশিয়া
বিত্তশালীদের পছন্দের তালিকায় কো দেশ, কোন দেশের সরকারের গ্রহণযোগ্যতা কেমন, কোন দেশের নাগরিকত্বের মূল্য সবচেয়ে বেশি, কোন দেশের পাসপোর্ট ভিসার ঝামেলা থেকে সবচেয়ে মুক্ত, সেই সংক্রান্ত ১৭ বছরের তথ্য যাচাই করে এই পাসপোর্ট সূচকের ক্রমাঙ্ক নির্ধারিত হয়। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে এখনও উড়ান পরিষেবা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়নি। তবে করোনা পরবর্তী কালে কোন দেশের পাসপোর্ট এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তা যাচাই করে নয়া সূচক সামনে আনা হয়েছে।