(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Maharashtra Coronavirus : ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের এখন ভ্যাকসিন নয়, ৪৫ ঊর্ধ্বদের দ্বিতীয় ডোজে জোর
চাহিদার তুলনায় ভ্যাকসিনের জোগান যে অপ্রতুল, তার ইঙ্গিত মিলছে কেন্দ্রের বক্তব্য থেকেও
মুম্বই : ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের জন্য ভ্যাকসিনেশন আপাতত স্থগিত রাখার কথা ভাবছে মহারাষ্ট্র সরকার। যেটুকু ভ্যাকসিন আছে তা ৪৫-ঊর্ধ্বদেরই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
বাড়ছে করোনার সংক্রমণ । সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু । বাড়ছে অক্সিজেন সঙ্কট। বাড়ন্ত ভ্যাকসিনের ভাঁড়ারও। সেই কথা মাথায় রেখে আপাতত ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন না দেওয়ার কথা চিন্তা করছে মহারাষ্ট্র সরকার । মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে ৪৫ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের ।
মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপে জানান, এখন যা ভ্যাকসিন হাতে রয়েছে তাতে ৪৫ এর উর্দ্ধে ব্যক্তিদের আগে দ্বিতীয় ডোজ দিয়ে দেওয়ার কথা মনে করছে সরকার। জানানো হয়েছে, রাজ্যজুড়ে ভ্যাকসিনের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে । হাতে আছে এখন ২.৭৫ লাখ ভ্যাকসিন । যাদের দ্বিতীয় বাকি আছে তাদেরকেই আগে দেওয়া হবে ভ্যাকসিন।
মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে শুধুমাত্র সেই রাজ্যের জন্য একটি আলাদা ভ্যাক্সিনেশন অ্যাপ তৈরি করার দাবি জানানো হয়েছে । স্বাস্থমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রাম গুলি থেকে ভ্যাকসিন বুক করার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিচ্ছে সেজন্য রাজ্যের জন্য একটি অ্যাপের বন্দোবস্ত করার প্রয়োজন
চাহিদার তুলনায় ভ্যাকসিনের জোগান যে অপ্রতুল, তার ইঙ্গিত মিলছে কেন্দ্রের বক্তব্য থেকেও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে বলেছেন, প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য ২টি কোভিড-১৯ টিকা প্রয়োজন। এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার পাশাপাশি দ্বিতীয় টিকা প্রদানের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার এবং টিকার অপচয় বন্ধ করার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফেও বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই যাঁরা প্রথম টিকা নিয়েছেন, তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে’।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৯৪২ জন। সোমবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ ৬৬ হাজার ১৬১ জন। রবিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ ৩ হাজার ৭৩৮ । দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৮৭৬ জনের । সোমবার দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৭৫৪ জনের । রবিবার দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৯২ ।
বিশেষজ্ঞরা বলছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলানোর একমাত্র পথ দ্রুত ভ্যাকসিনেশন!
কিন্তু, ভারতে যে গতিতে ভ্যাকসিনেশন হচ্ছে তা কি আদৌ সন্তোষজনক? ভারতের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৩৫ কোটি। বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে হলে অন্তত সাড়ে ৯৪ কোটি দেশবাসীকে ভ্যাকসিন দিতে হবে। তারজন্য প্রয়োজন ১৮৯ কোটি ভ্যাকসিন। বর্তমানে বছরে ৫৪ কোটি ভ্যাকসিনের যোগান সম্ভব। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে, হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতেই, প্রায় সাড়ে তিন বছর সময় লেগে যেতে পারে।