Covid-19 : মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে "পজিটিভ" ও "নেগেটিভ" রিপোর্ট ২ ব্যক্তির ! আরোগ্য সেতু টিমের জবাব...
Maharashtra : "ওরা আমাকে পজিটিভ থাকার জন্য জোর করছে। নেগেটিভ রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও আমি আবার কীভাবে নেগেটিভ রিপোর্ট নেব ?"
মুম্বই : কোভিড-রিপোর্ট নিয়ে বিভ্রান্তি। আরটিপিসিআর টেস্টের (RTPCR Tests) কয়েক ঘণ্টার ব্যবধনে মহারাষ্ট্রের দুই ব্যক্তির "পজিটিভ" (Positive) ও "নেগেটিভ" (Negative) রিপোর্ট ঘিরে চরম ভোগান্তি। পরিবার, প্রতিবেশী, অফিস, ভ্রমণের পরিকল্পনা-যাবতীয় ক্ষেত্রে চরম সমস্যায় পড়েন তাঁরা।
এই দুই জনের মধ্যে এক ব্যক্তির কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসা সত্ত্বেও, আরোগ্য সেতু টিম হাত তুলে নেয়। তাদের বক্তব্য, নেগেটিভ হওয়ার পরেই অ্যাপে তাঁর স্ট্যাটাস পাল্টাবে।
ঘটনাটি কী ?
সোমবার মালাড়ের বাসিন্দা বিজয় পি আগরওয়ালকে কিছু মিটিংয়ের জন্য বাইরে যেতে হত। তাই তিনি আরোগ্য সেতু অ্যাপে নিজের স্ট্যাটাস চেক করেন। তিনি অবাক হয়ে যান এই দেখে যে, তাঁকে কোভিড পজি়টিভ উল্লেখ করা আছে।
আরও পড়ুন ; 'ওমিক্রন কোনও সাধারণ সর্দি-কাশি নয়, হালকা ভাবে নেবেন না', জানাল সরকার
বিজয় পি আগরওয়াল জানান, সঙ্গে সঙ্গে তিনি আইসোলেশনে চলে যান। তারপর বিএমসি থেকে আরটিপিসিআর টেস্ট করান। গত ১১ জানুয়ারি বিএমসি-র তরফ থেকে তাঁর নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। যার জেরে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
এই পরিস্থিতিতে আরোগ্য সেতু কর্তৃপক্ষকে তিনি ইমেল পাঠান। তাঁর নামের পরিপ্রেক্ষিত এরকম বিভ্রান্তিকর স্ট্য়াটাসের ব্যাখ্য়া চান তিনি। যদিও আরোগ্য সেতু টিমের তরফে বুধবার জবাব পাঠানো হয়, কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসার ১৪ দিন পর নিজে থেকেই কোভিড পজিটিভ স্ট্যাটাস পাল্টে যাবে।
আগরওয়াল বলেন, এটা আরও হাস্যকর। কারণ, ওরা আমাকে পজিটিভ থাকার জন্য জোর করছে। নেগেটিভ রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও আমি আবার কীভাবে নেগেটিভ রিপোর্ট নেব ? ওদের উচিত, বিএমসি-র আরটিপিসিআর টেস্ট রিপোর্টকে সম্মান জানানো। এখনই আরোগ্য সেতুর স্ট্যাটাস পাল্টে দেওয়া উচিত। যাতে আমি কোনও সমস্যায় না পড়ি।
অন্যদিকে থানের এক বাসিন্দা কে জি-র গত সপ্তাহে গল্ফে যাওয়ার কথা ছিল। ৪০ বছর বয়সী এই ব্যক্তিরও একই সমস্যা হয়।
উড়ানের আগে তিনি একটি নামী সংস্থার ল্যাব থেকে আরটিপিসিআর টেস্ট করান। তাতে নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। সেইমতো পরের দিন অর্থাৎ ৩ জানুয়ারি তিনি ফ্লাইটের প্রস্তুতি নেন। কেজি জানান, যখন আমি ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাই, তখন আমাকে আরও একবার আরটিপিসিআর টেস্ট করতে বলা হয়। অদ্ভুতভাবে সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আমি বিমানে উঠতে পারিনি।
প্রসঙ্গত, মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে থানের একই ল্য়াব থেকে তাঁর পৃথক রিপোর্ট আসে। যদিও ওই ব্যক্তি এক সপ্তাহ বাড়িতেই আইসোলেশনে কাটান। আবার আরটিপিসিআর টেস্ট করান। মঙ্গলবারের সেই রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর বিদেশ যাওয়া শিকেয় উঠেছে।