Manipur ABP News-CVoter Opinion Poll: মণিপুরে ত্রিশঙ্কু! ম্যাজিক সংখ্যা ছুঁতে পারবে না কেউই, বলছে এবিপি নিউজ-সি ভোটার সমীক্ষা
Manipur ABP News-CVoter Opinion Poll: দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মসনদ ধরে রাখার পর ২০১৭ সালে বিজেপি-র কাছে মণিপুর হাতছাড়া হয়েছিল কংগ্রেসের।
ইম্ফল: বিতর্কিত ‘আফস্পা’ (AFSPa) নিরীহ মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে নাগাল্যান্ডে (Nagaland Shooting)। ভোটমুখী মণিপুরে তাই সাবধানে পা ফেলছে বিজেপি (BJP)। ভোটের আগেই মণিপুর থেকে সম্পূর্ণ ভাবে ‘আফস্পা’ তুলে নেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা শোনা যাচ্ছে সেখানে বিজেপি-র সরকারের অন্দরেই। প্রকাশ্যে যদিও দলের নেতারা ‘আফস্পা’র দায় কংগ্রেসের (Congress) ঘাড়েই চাপিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেসের দাবি, ২০০৪ সালে মণিপুরের (Manipur Assembly Election 2022) ৭ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে আফস্পা তুলে নিয়েছিল তারাই।
কিন্তু আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ চললেও, এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে কোনও পক্ষই ম্যাজিক সংখ্যা ছুঁতে পারবে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ভোটের মাস দেড়েক আগে এবিপি নিউজ-সিভোটার সমীক্ষার পরিসংখ্যানেও তেমনই ইঙ্গিত মিলছে। দেখা যাচ্ছে, ৬০ আসনের মণিপুর বিধানসভায় বিজেপি ২৩ থেকে ২৭টি আসন পেতে পারে। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মসনদ ধরে রাখার পর ২০১৭ সালে বিজেপি-র কাছে মণিপুর হাতছাড়া হয়েছিল কংগ্রেসের। এ বার কংগ্রেস জয়ী হতে পারে ২২ থেকে ২৬টি আসনে। এনপিএফ এবং অন্যদের ঝুলিতে যথাক্রমে ৪টি এবং ৭টি আসন যেতে পারে।
তাই মণিপুরে ভোটের ফলাফল ত্রিশঙ্কু হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে বিজেপি-র ভোট সামান্য হলেও কমতে পারে। ভোট কমতে পারে কংগ্রেসের ভাগেরও। বরং ভোটের ময়দানে দুই জাতীয় দলের সামনে আঞ্চলিক দলগুলির ফলাফল ভাল হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ৩ মার্চ মণিপুরে দু’দফায় বিধানসভা নির্বাচন। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ১৫ জানুয়ারি থেকে সেখানে যাবতীয় রাজনৈতিক সভা, মিছিল, প্রচার এবং শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ভোটগ্রহণেও যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ২০১৭ সালে ২৮টি আসনে জয়লাভ করে মণিপুরে একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছিল কংগ্রেস। কিন্তু ভোট মিটতেই একের পর এক নেতা দল ছেডে় বেরিয়ে যেতে শুরু করেন। এর পর ২১টি আসনে জেতা বিজেপি নাগা পিপলস ফ্রন্ট (NPF), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (NPP) এবং লোক জনশক্তি পার্টি (LJP)-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে, এক জন নির্দল প্রার্থী এবং কংগ্রেসের বিদ্রোহী বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে সরকার গড়ে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন বীরেন সিংহ।