E Sreedharan: আর সক্রিয় রাজনীতিতে নয়, ঘোষণা ‘মেট্রো ম্যান’ ই শ্রীধরণের
'Metro Man' E Sreedharan: ই শ্রীধরণ দিল্লি মেট্রোর অন্যতম স্থপতি। তিনি বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার আগে ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে সরব হন। কেরল সরকারের দেনা বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে এলডিএফ ও ইউডিএফ-কে আক্রমণ করেন তিনি।
নয়াদিল্লি: ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন ‘মেট্রো ম্যান’ ই শ্রীধরণ। তিনি কেরলে বিজেপি-র মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থীও হয়েছিলেন। কিন্তু পালাক্কাড কেন্দ্র থেকে তিনি হেরে যান। কেরলে বিজেপি-র ফলও খুব খারাপ হয়। এর কয়েকমাসের মধ্যেই রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন ৯০ বছর বয়সি শ্রীধরণ।
মেট্রো ম্যান জানিয়েছেন, ‘আমি আর সক্রিয় রাজনীতিতে থাকব না। আমার সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করার সময় পেরিয়ে গিয়েছে। আমি রাজনীতি ছাড়ছি না, কিন্তু আমি আর সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করতে চাইছি না। আমার বয়স ৯০ বছর হয়ে গিয়েছে। এই বয়সে আর দৌড়ঝাঁপ করতে পারছি না।’
শ্রীধরণ আরও জানিয়েছেন, ‘আমি কোনওদিনই আপাদমস্তক রাজনীতিবিদ ছিলাম না। আমলা হিসেবেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলাম। আমি রাজনীতির বাইরে গিয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছি। আস্থা বজায় রাখতে চেয়েছি। ভোটে হেরে গিয়ে একটু হতাশ হয়েছিলাম, কিন্তু এখন আর হতাশ লাগে না। কারণ, কেরলে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারেনি। সেখানে আমি একা বিধায়ক হয়ে কিছুই করতে পারতাম না।’
বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী শফি পরমবিলের কাছে হেরে যান শ্রীধরণ। তিনি কেরলে বিজেপি-র তারকা প্রার্থী ছিলেন। তাঁকে সামনে রেখেই ভোটে লড়াই করেছিল গেরুয়া শিবির। তিরুঅনন্তপুরমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপি-তে যোগ দেন শ্রীধরণ। বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার আগে ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে সরব হন শ্রীধরণ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কেরলে কী হয়, সেটা আমি দেখেছি। হিন্দু মেয়েদের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। শুধু হিন্দুই নয়, মুসলিম, খ্রিস্টান মেয়েদেরও ফাঁদে ফেলে বিয়ে করা হচ্ছে। আমি এটার বিরোধিতা করব।’
কিন্তু ‘মেট্রো ম্যান’-কে দলে নিয়েও কেরলের ভোটে কিছুই করতে পারেনি বিজেপি। টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে বামফ্রন্ট। এই পরিস্থিতিতে সক্রিয় রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন শ্রীধরণ। তিনি ভবিষ্যতে অন্য কোনও দলে যোগ দেবেন কি না, সেটা অবশ্য স্পষ্ট হয়নি।