Padma Bhushan : সস্ত্রীক পদ্মভূষণ পাচ্ছেন ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান
Padma Award 2022 : মারণ ভাইরাসের মোকাবিলায় টিকা এনে আশ্বস্ত করেছিলেন দেশবাসীকে
![Padma Bhushan : সস্ত্রীক পদ্মভূষণ পাচ্ছেন ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান Padma Award 2022 : Bharat Biotech Chairman Krishna Ella, his co-founder wife Suchitra Ella to be awarded Padma Bhushan Padma Bhushan : সস্ত্রীক পদ্মভূষণ পাচ্ছেন ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/01/25/183cef801e22b987fef157d7740d0425_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
নয়া দিল্লি : করোনা ভাইরাস নিয়ে গোটা বিশ্ব-জুড়ে যখন দিশেহারা অবস্থা, তখন আশার আলো দেখিয়েছিলেন। মারণ ভাইরাসের মোকাবিলায় টিকা এনে আশ্বস্ত করেছিলেন দেশবাসীকে। সেই কোভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech) সংস্থার চেয়ারম্যান কৃষ্ণ এল্লা ও সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা তাঁর স্ত্রী সুচিত্রা এল্লাকে এবার সম্মানিত করতে চলেছে কেন্দ্র। পদ্মভূষণ (Padma Bhushan) সম্মান দেওয়া হবে তাঁদের। এমনই খবর সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রের।
৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে আজ পদ্ম পুরস্কারের তালিকা ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ এল্লা ও তাঁর স্ত্রী সুচিত্রা। করোনার প্রথমদিকের পর্বে দেশে প্রাথমিকভাবে যে দুটি ভ্যাকসিন এসেছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল কোভ্যাকসিন।
তামিলনাড়ুর মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারের এই সন্তানের ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণায় সাফল্যের জন্য সুনাম রয়েছে। এবার করোনার ক্ষেত্রেও তিনি সুনাম বজায় রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।
একটি সাক্ষাৎকারে কৃষ্ণ জানিয়েছিলেন, ‘শুরুতে আমার লক্ষ্য ছিল, কৃষিবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করার পর চাষের কাজই করব। কিন্তু আর্থিক সমস্যার জন্য রাসায়নিক ও ওষুধ সংস্থা বেয়ারের কৃষি বিভাগে যোগ দিতে বাধ্য হই। এরপরেই ফেলোশিপ পেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে চলে যাই। আমার ভারতে ফিরে আসার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু মা দেশে ফেরার জন্য চাপ দিতে থাকেন। সেই কারণেই দেশে ফিরে আসি। স্বল্পমূল্যে হেপাটাইটিসের ভ্যাকসিন তৈরি করাই আমার লক্ষ্য ছিল।’
আরও পড়ুন ; নেতিবাচক প্রচারের জেরে দেরিতে অনুমতি পেল কোভ্যাকসিন, বড় অভিযোগ ভারত বায়োটেক প্রধানের
হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ও উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পূর্ণ করার পর ১৯৯৫ সালে দেশে ফিরে পরের বছর এই সংস্থা গড়ে তোলেন কৃষ্ণ। তিনি ভ্যাকসিন ও জৈব আরোগ্য বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। ইতিমধ্য়েই জাপানি এনসেফেলাইটিস ও হেপাটাইটিস বি-র ভ্যাকসিন তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক। এখন চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে। তবে কৃষ্ণর সামনে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা ছিল ‘কোভ্যাকসিন’।
এর আগে ২০১৫ সালে রটাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করে ভারত বায়োটেক। সেই ভ্যাকসিনের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘রটাভ্যাক’ নামে এই ভ্যাকসিনের এক ডোজের দাম এক মার্কিন ডলার। বিশ্বের অন্যতম স্বল্পমূল্যের ভ্যাকসিন এটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করছে।
ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে ভারত বায়োটেকের সুনাম আছে। এই সংস্থা বিশ্বের প্রথম টাইফয়েড কনজ্যুগেট ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। এই ভ্যাকসিনটিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে। সেইমতোই করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করেও দেশবাসীর আশা পূরণ করে ভারত বায়োটেক।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)