Lok Sabha: গত ২ বছরে ছাপা হয়নি ২ হাজার টাকার নোট, সংসদে জানাল কেন্দ্র
২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে নতুন ৫০০ টাকা ও ২ হাজার টাকার নোট চালু হয়েছিল
নয়াদিল্লি: গত ২ বছরে নতুন করে ২ হাজার টাকার নোট ছাপা হয়নি। সংসদে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র।
লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে, এমডিএমকে সাংসদ এ গণেশমূর্তি সরকারের কাছে জানতে চান, ২০১৬ সালে নোটবন্দির পর চালু হওয়া নোটগুলি কেন এখন বাজারে যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে না? তাঁর দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, বর্তমানে ব্যাঙ্ক ও এটিএমগুলিতে ২ হাজার টাকার নোটের জোগান অনেকটাই কমে গিয়েছে। সরকার কি এই সম্পর্কে অবগত?
এর উত্তরে, কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ২ হাজার টাকার নোট ছাপার জন্য পাঠানো হয়নি। তিনি বলেন, যে কোনও মূল্যের ব্যাঙ্কনোট কত পরিমাণ ছাপা হবে, সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনা-পরামর্শ করে সরকার। বাজারে চাহিদা অনুযায়ী ও অর্থের আদানপ্রদানে সুবিধা খতিয়ে দেখে মানুষের কাছে কোন মূল্যের নোট কতটা পরিমাণ ছাড়া হবে, সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর পাশাপাশি, কোনও নির্দিষ্ট মূল্যের নোট ব্যবহারের সুবিধে-অসুবিধের কথাও মাথায় রাখা হয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বলেও জানান অনুরাগ। তিনি জানান, গত বছর থেকেই, দেশে ২০০০ টাকার নোটের জোগান কমেছে। গত বছর, মন্ত্রকের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছিলেন, দেশে মোট চালু থাকা অর্থের ৩৫ শতাংশই ২ হাজার টাকার নোটের।
২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় নতুন ৫০০ টাকা ও ২ হাজার টাকার নোট চালু হয়। পরবর্তীকালে, নতুন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে নতুন ২০০, নতুন ১০০, নতুন ৫০ টাকার নোটগুলিতে বাজার ছেয়ে গেলেও, ধীরে ধীরে অপ্রতুল হতে থাকে ২ হাজার টাকার নোট।
লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালের মার্চ মাসের হিসেব অনুযায়ী, দেশে ৩৩৬.২ কোটি ২ হাজার টাকার নোট চালু ছিল। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের হিসেব অনুযায়ী, এই সংখ্যা কমে হয়েছে ২৪৯.৯ কোটি।