Covid19 Update: আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকলে, ভ্যাকসিনের একটা ডোজই যথেষ্ট, দাবি নতুন গবেষণায়
গবেষকদের দাবি, কোভিড থেকে সেরে ওঠার ৩-৬ মাস পর ভ্য়াকসিনের সিঙ্গল ডোজের কার্যকারিতার সঙ্গে ডবল ডোজের কার্যকারিতার কোনও তফাৎ নেই।
নয়াদিল্লি: করোনা আক্রান্ত হয়ে আরোগ্যলাভ করা ব্যক্তিদের ভ্যাকসিনের একটা ডোজই যথেষ্ট। এমন তথ্যই উঠে এসেছে এক নতুন গবেষণায়।
হায়দরাবাদের এআইজি হাসপাতালের তরফে এদিন জানানো হয়, ২৬০ স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর একটি সমীক্ষা চালানো হয়। ওই কর্মীরা সকলেই ১৬ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়েছেন। ওই কর্মীদের শরীরে ভ্যাকসিন কতটা প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলেছে, তা জানার জন্য ওই সমীক্ষা চালানো হয়।
সম্প্রতি, ওই গবেষণার ফল ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল ফর ইনফেকশাস ডিজিজেস -এ প্রকাশিত হয়। গবেষকদের দাবি, গবেষণা থেকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ বেরিয়ে এসেছে।
ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে, যাঁরা এই সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছিলেন, প্রথম ডোজ নেওয়ার পর তাঁদের শরীরে বেশি পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে সেই সকল মানুষের তুলনায় যাঁরা টিকা নেওয়ার আগে সংক্রমিত হননি।
গবেষণায় আরও উঠে আসে, অ্যান্টিবডির পাশাপাশি, আগে সংক্রমিত ব্যক্তিদের শরীরে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের পরই বেশি পরিমাণ মেমরি টি-সেল উৎপন্ন হয়েছে।
গবেষকদের দাবি, কোভিড থেকে সেরে ওঠার ৩-৬ মাস পর ভ্য়াকসিনের সিঙ্গল ডোজের কার্যকারিতার সঙ্গে ডবল ডোজের কার্যকারিতার কোনও তফাৎ নেই।
গবেষকদের দাবি, যাঁরা আগে কোভিড-১৯ সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের সিঙ্গল ডোজই যথেষ্ট। কারণ, একটা ডোজেই তাঁদের শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ অ্যান্টিবডি ও মেমরি সেল উৎপন্ন হবে, যা দুটি ডোজের সমান।
গবেষকদের দাবি, এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দেশে ভ্যাকসিনের অভাব রয়েছে। সেক্ষেত্রে এই গবেষণার ফল স্বীকৃতি পেলে অনেক ভ্যাকসিন বেঁচে যাবে এবং বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়ে বাঁচানো সম্ভব হবে।
সম্প্রতি, ভ্যাকসিন নিয়ে বড় ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, আগামী ২১ জুন থেকে ১৮ ঊর্ধ্ব সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, এবার থেকে আর রাজ্য সরকারগুলিকে ভ্যাকসিন কিনতে হবে না। উৎপাদক সংস্থার কাছ থেকে কেন্দ্র সরকার ভ্যাকসিন কিনে রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দেবে।
এদিকে, কোভ্যাক্সিনের তুলনায় কোভিশিল্ডেই তৈরি হয় বেশি অ্যান্টিবডি। গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। একদল গবেষক দাবি করেছেন। প্রাথমিকভাবে এই গবেষণায় অংশগ্রহণ করেছিলেন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা, দুই দলে ভাগ করে দেওয়া হয় টিকা। তাঁদের শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির ভিত্তিতে এই পরীক্ষা করা হয়।