Antilia bomb scare case মুম্বই পুলিশ থেকে বরখাস্ত মৃল অভিযুক্ত 'এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট' সচিন ওয়াজ
অ্যান্টিলা বম্বকাণ্ড ও মনসুখ হিরেন মৃত্যুর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সচিন ওয়াজ বর্তমানে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) হেফাজতে রয়েছেন।
মুম্বই: মুম্বই পুলিশ থেকে বরখাস্ত করা হল 'এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট' অ্যাসিস্টেন্ট সাব ইন্সপেক্টর সচিন ওয়াজকে। মঙ্গলবার, মুম্বই পুলিশ কমিশনার হেমন্ত নাগরালে জানান, সচিনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অ্যান্টিলা বম্বকাণ্ড ও মনসুখ হিরেন মৃত্যুর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সচিন ওয়াজ বর্তমানে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) হেফাজতে রয়েছেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শিল্পপতি মুকেশ অম্বানির বাসভবন অ্যান্টিলার সামনে বিস্ফোরক-ভর্তি গাড়ি উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তদন্তে নেমে গত ১৩ মার্চ সচিনকে গ্রেফতার করে এনআইএ। তারপরই তাঁকে প্রাথমিকভাবে সাসপেন্ড করেছিল মুম্বই পুলিশ।
১৯৯০ ব্যাচের মহারাষ্ট্র ক্যাডারের অফিসার সচিন ওয়াজ মুম্বই পুলিশে 'এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট' নামেই পরিচিত ছিলেন। এর আগে, বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত এক যুবকের হেফাজতে মৃত্য়ুর ঘটনায় ১৬ বছর সাসপেন্ড ছিলেন ওয়াজ। ২০২০ সালের জুন মাসে তাঁকে পুনরায় সার্ভিসে ফেরানো হয়েছিল।
বর্তমানে তিনি মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের অন্তর্গত ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান ছিলেন। বেশ কিছু হাই প্রোফাইল কেস সামলাচ্ছিলেন তিনি। এর মধ্যে ছিল ফেক টিআরপি মামলা, ফেক সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ার মামলা, গাড়ি বিমা দুর্নীতি মামলা ও অম্বানি নিরাপত্তা মামলা।
কিন্তু, অ্যান্টিলা কাণ্ডের তদন্তে নেমে মহারাষ্ট্র এটিএস-এর রেডারে চলে আসেন সচিন ওয়াজ। তদন্তে উঠে আসে, অ্যান্টিলার সামনে যে গাড়িতে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল, তা মনসুখ হিরেন নামে ঠাণের এক গাড়ি ব্যবসায়ীর।
কিন্তু, হিরেনকে ধরার আগেই, অ্যান্টিলাকাণ্ডের ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় হিরেনের মৃতদেহ একটি খাঁড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
মনসুখের মৃত্যুতে তদন্তকারীদের সন্দেহ হয় সচিন ওয়াজের ওপর। পুলিশ জানতে পারে, হিরেন ও সচিনকে সাম্প্রতিককালে একাধিকবার একসঙ্গে দেখা গিয়েছে।
সচিন ওয়াজর পাশাপাশি এই কাণ্ডে এনআইএ-র হেফাজতে রয়েছে সাসপেন্ড হওয়া পুলিশ কনস্টেবল বিনায়ক শিন্ডে, ক্রিকেট বুকি নরেশ গৌর ও ভাজের সহকর্মী রিয়াজ কাজি।
এদিকে, এনআইএ-কে দেওয়া এক লিখিত বিবৃতিতে, সচিন দাবি করেছিলেন, পুলিশে তাঁকে পুনরায় বহাল করার জন্য মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ তাঁর থেকে ২ কোটি টাকা চেয়েছিলেন।