তালিবান সরকারের প্রধানের পদে মোল্লা বরাদর
তালিবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা মহম্মদ ইয়াকুব এবং শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই নতুন তালিবান সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন।
নয়াদিল্লি: আফগানিস্তানে তালিবান সরকারের প্রধান হতে চলেছেন মোল্লা বরাদর। তালিবানের রাজনৈতিক শাখার প্রধান বরাদরের হাতেই যে সরকারের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে, তা তালিবানের সূত্রে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গেই তালিবান সূত্রে খবর, তালিবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা মহম্মদ ইয়াকুব এবং শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই নতুন তালিবান সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন।
যদিও তালিবান কবে সরকার গঠন করবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে জল্পনা চলছে, আফগানিস্তানে সরকার গঠনে ইরানের মডেল অনুসরণ করতে পারে তালিবান। সে ক্ষেত্রে সর্বেসর্বা হবেন সুপ্রিম লিডার। সেই পদে দেখা যেতে পারে তালিবান প্রধান হিবাতুল্লাহ্ আখুন্দজাদাকে। প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন আবদুল গনি বরাদর কিংবা মোল্লা ইয়াকুব।
২০ বছরের যুদ্ধে ইতি টেনে, আফগানিস্তান ছেড়েছে আমেরিকা। দেশ এখন তালিবানের হাতের মুঠোয়। ১৫ অগাস্ট কাবুলের পতনের পর ২ সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। আফগানিস্তানে এখনও নতুন সরকার গঠন করেনি তালিবান। আগামী সপ্তাহে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে তালিবানি থিঙ্কট্যাঙ্ক।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠনের ক্ষেত্রে ইরানি মডেল অনুসরণ করতে পারে তালিবান। এই মডেল কার্যকরী হলে, আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হবেন সুপ্রিম লিডার। জল্পনায় ভাসছে একটিই নাম। হিবাতুল্লাহ্ আখুন্দজাদা। তালিবান প্রধান।
সূত্রের দাবি, তালিবানের সুপ্রিম লিডার কাজ করতে পারেন কান্দাহার থেকে। রাজধানী কাবুল নয়। পাশাপাশি, সম্ভাব্য তালিবান সরকারের এগজিকিউটিভ ব্রাঞ্চের নেতৃত্বে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অধীনে থাকবে বিভিন্ন মন্ত্রক।
প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য তালিবানের রাজনৈতিক শাখার প্রধান আবদুল গনি বরাদর এবং মোল্লা ইয়াকুবের নাম ভেসে বেড়াচ্ছে। শোনা যাচ্ছে আফগানিস্তানের ফিরিয়ে আনা হতে পারে ১৯৬৪-৬৫ সালের সংবিধান।
উল্লেখ্য পঞ্জশিরে নর্দার্ন অ্যালায়েন্সকে দ্রুত আত্মসমর্পন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তালিবান। দ্রুত আত্মসমর্পণ করুন, না হলে ফল হবে ভয়ঙ্কর। এমনটাই বলা হয়েছে তাদের তরফে। কাবুল-সহ আফগানিস্তান তালিবানের দখলে এলেও এখনও অজেয় হিন্দুকুশের কোলে পঞ্জশির উপত্যকা। সেখানে আহমেদ মাসুদের নেতৃত্বে তালিবান-বিরোধী লড়াই চালাচ্ছে নর্দার্ন অ্যালায়েন্স। পঞ্জশির দখলে তালিবান ফের একবার ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছে মাসুদ বাহিনী।
নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের দাবি, যুদ্ধে ৩৪ জন তালিবান নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, পারওয়ান প্রদেশে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজদের সঙ্গে তালিবানের সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও পাঁচজন। এরইমধ্যে দাপট বোঝাতে কান্দাহারে ন্যাটোবাহিনীর ফেলে যাওয়া অস্ত্রসম্ভার নিয়ে মার্চ পাস্ট করল তালিবান। আকাশে উড়ল ব্ল্যাক হক কপ্টারও।