UAE-India Relations: ভারতের থেকে কেনা গম-আটা রফতানি আপাতত বন্ধ, ঘোষণা সংযুক্ত আমিরশাহির
Wheat Export: উপসাগরীয় দেশগুলির মধ্যে একমাত্র সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সঙ্গেই নিঃশুল্ক বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে ভারতের।
নয়াদিল্লি: আন্তর্জাতিক স্তরে পয়গম্বর বিতর্ক সামাল দিতে এমনিতেই হিমশিম অবস্থা। আচমকা গম রফতানির সিদ্ধান্তেও লাগাতার সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে। তার মধ্যেই ভারতের থেকে কেনা গম (Whea Import), আটা, ময়দার রফতানি সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (United Arab Emirates)। সেই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আপাতত চার মাস ভারতের থেকে কেনা গম, আটা এবং ময়দার রফতানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সরকারি বিবৃতি তুলে ধরে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সে দেশের এমিরেটস নিউজ এজেন্সি।
ভারত থেকে কেনা গম-আমদানি নিয়ে বড় ঘোষণা
এই সিদ্ধআন্তের কারণ যদিও ব্যাখ্যা করা হয়নি বিশদে। বিশ্ব বাণিজ্যে বিঘ্ন ঘটাতেই এমন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে সে দেশের অর্থ মন্ত্রককে উদ্ধৃত করো হয়েছে ওই সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে। একাধিক পশ্চিমি দেশে গম রফতানি বন্ধ রাখলেও, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে রফতানিতে আগেই সায় দিয়েছিল দিল্লি।
গত ১৪ মে বিদেশে গম রফতানি নিষিদ্ধ করে ভারত। তবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল না। আগেই তাদের লেটার অফ ক্রেডিট দিয়ে রেখেছিল দিল্লি। সেই নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই ভারতের থেকে গম, আটা, ময়দা কেনা সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। শুধু তাই নয়, ভারতের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারির আগে যে সমস্ত সংস্থা গম, আটা রফতানির জন্য কিনে রেখেছিল, রফতানি করার আগে তাদের দেশের অর্থমন্ত্রকের কাছে আবেদন জানাতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
উপসাগরীয় দেশগুলির মধ্যে একমাত্র সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সঙ্গেই নিঃশুল্ক বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে ভারতের। পাঁচ বছরে দুই দেশের বাণিজ্যকে ১০ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যেতেই ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তার আওতায় দুই দেশ পণ্য আমদানি এবং রফতানির ক্ষেত্রে পরস্পরের থেকে কোনও শুল্ক নেবে না বলে ঠিক হয়। এ বছর মে মাস থেকেই ওই চুক্তির আওতায় বাণিজ্য শুরু হয় দুই দেশের মধ্যে।
চলতি মাসের শেষেই আমিরশাহি যাবেন মোদি
তার পর একমাস পেরোতে না পেরোতেই এমন ঘোষণা করল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। তাতে দিল্লির উদ্বেগ বাড়ল বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ সম্প্রতি পয়গম্বর মহম্মদকে নিয়ে বিজেপি-র প্রাক্তন নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যের আঁচ পৌঁছেছিল উপসাগরীয় দেশগুলিতেও। কোনও সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা উচিত নয় বলে বিবৃতি দেয় সে দেশের বিদেশ মন্ত্রক। তার পরই জুন মাসের শেষে আমিরশাহি যাওয়ার ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদি। তার মধ্যেই এই ঘোষণা।