Presidential Election 2022: বিরোধী ঐক্যের পথে অন্তরায় কংগ্রেস! মমতার বৈঠক থেকে নাম তুলে নিল TRS, অনাগ্রহী AAP, BJD-ও
Opposition Meeting: আমন্ত্রণপত্র পেলেও বৈঠকে যাওয়ার প্রশ্ন ছিল না বলেও জানিয়েছে বিজেডি। দলের তরফে জানানো হয়েছে, বিজেপি এবং কংগ্রেস, দুই দলের কারও সঙ্গেই সখ্য গড়ে তোলার কোনও আগ্রহ নেই বিজেডি-র।
নয়াদিল্লি: জাতীয় ক্ষেত্রে বিরোধী ঐক্যের প্রশ্নে গোড়াতেই চোনা ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (Presidential Election 2022) আগেও একই পন্থা নিতে দেখা গেল তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওকে (KCR)। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ডাকে বুধবার দিল্লিতে বিরোধী শিবিরের বৈঠক রয়েছে। আমন্ত্রণ পেয়েও তাতে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তাঁর দল তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (TRS)। কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নিতে বিন্দুমাত্র আগ্রহী নয় বলে জানিয়ে দিল তারা।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে বিরোধী ঐক্যে ফাটল!
২০১৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী শিবিরকে একজোট করায় সমর্থন জানালেও, বলাবরই কংগ্রেস মুক্ত তৃতীয় জোটের পক্ষে সওয়াল করে এসেছে TRS। বিশেষ করে রাহুল গাঁধীকে নিয়ে খোলাখুলি আপত্তি জানিয়ে এসেছে তারা। তেলঙ্গানায় রাহুল কেসিআর-এর দলের সমালোচনায় করে সেই বৈরিতা আরও বেড়েছে। তাই মমতার ডাকা বৈঠকে না যাওয়ায় তাদের ব্যাখ্যা, “কংগ্রেসের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।” শুধু তাই নয়, তাদের আপত্তির কথা জানা সত্ত্বেও কেন কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ জানানো হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে TRS।
শুধু TRS-ই নয়, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (AAP), ওড়িশার নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দলও (BJD) মমতার ডাকা বৈঠকে যেতে আগ্রহী নয় বলে জানা গিয়েছে। আপ জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হওয়ার পরই এ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করবে তারা। বিজেডি-র দাবি, তাদের বৈঠকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। একই ভাবে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগনমোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসও এ দিনের বৈঠকে থাকছে না বলে জানা গিয়েছে। তাদের কাছেও মমতার আমন্ত্রণপত্র পৌঁছয়নি বলে জানা গিয়েছে।
আমন্ত্রণপত্র পেলেও বৈঠকে যাওয়ার প্রশ্ন ছিল না বলেও জানিয়েছে বিজেডি। দলের তরফে জানানো হয়েছে, বিজেপি এবং কংগ্রেস, দুই দলের কারও সঙ্গেই সখ্য গড়ে তোলার কোনও আগ্রহ নেই বিজেডি-র। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে সঠিক সময়ে সীদ্ধান্ত নেবেন নবীন। রাষ্ট্রপতি পদে কাকে সমর্থন জানাবেন, নাম চূড়ান্ত হলেই তা জানিয়ে দেবেন তিনি। তাই এই মুহূর্তে কোনও গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হতে নারাজ বিজেডি। বিজেপি-র প্রাক্তন শরিক অকালি দলকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হলেও, তারাও সম্ভবত বৈঠকে থাকছে না
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে বিরোধী শিবিরের বৈঠকে যোগ দিতে ২২টি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মমতা। এ দিন দিল্লির কনস্টিটিউশন হলে ওই বৈঠকে যোগ দিচ্ছে কংগ্রেস। বাংলায় পরস্পরের বিরোধী হলেও, বৈঠকে থাকছে বামেরা। সমাজবাদী পার্টি, ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চা, সিপিআই, ডিএমকে, শিবসেনা, রাষ্ট্রীয় লোক দল, ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টিও বৈঠকে যোগ দিচ্ছে। এ দিনের বৈঠকে মল্লিকার্জুন খড়্গে, হেমন্ত সোরেন, অখিলেশ যাদব, বিনয় বিশ্বম, ইলামরম করিম, টিআর বালু, সুভাষ দেসাই, জয়ন্ত চৌধরি, ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি, এইচডি কুমারস্বামী, এইচডি দেবগৌড়া থাকছেন বলে জানা গিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়া বাকি
আগামী ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ভোটগণনা ২১ জুলাই। তবে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গেলেও, শাসক-বিরোধী দুই তরফেই প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি এখনও। বিরোধীদের তরফে প্রথমে শরদ পওয়ারের নাম প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু পওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যেতে রাজি হননি বলে খবর। এনসিপি সূত্রে খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীরা আসন সংখ্যায় আদৌ পেরে উঠবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান পওয়ার। প্রাক্তন আমলা তথা বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধীর কাছেও প্রস্তাব গিয়েছে বলে খবর। সিদ্ধান্ত নিতে সময় চেয়েছেন তিনি।