(Source: Poll of Polls)
Covid 19 Vaccination : বিজ্ঞানীদের সম্মতি ছাড়াই অ্যাস্ট্রাজেনেকার ডোজের সময়ের ব্যবধান বৃদ্ধি ? পাল্টা বিবৃতি সরকারের
অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনে দুটি ডোজের সময়ের ব্যবধান আগেই বাড়িয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু, এজন্য নাকি বিজ্ঞানীদের সম্মতি নেওয়া হয়নি। এমনই দাবি জানালেন একাংশ বিজ্ঞানী।
নয়া দিল্লি : অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনে দুটি ডোজের সময়ের ব্যবধান আগেই বাড়িয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু, এজন্য নাকি বিজ্ঞানীদের সম্মতি নেওয়া হয়নি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে একথা জানালেন উপদেষ্টামণ্ডলীর তিন সদস্য।
গত ১৩ মে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের ব্যবধান ৬-৮ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ১২-১৬ সপ্তাহ করা হয়েছিল। এই ঘোষণা এমন একটা সময় হয়েছে যখন চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিনের চরম ঘাটতি দেখা দেয় দেশজুড়ে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল, সময়ের এই ব্যবধান সুপারিশ করেছে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অন ইম্যুনাইজেশন। এই সুপারিশের আগে সংশ্লিষ্ট বডির তরফে ব্রিটেনের একাধিক দৃষ্টান্ত খতিয়ে দেখা হয়েছে। যদিও NTAGI-এর কোর গ্রুপের তিন সদস্য জানিয়েছেন, এই ধরনের সুপারিশ করার মতো যথেষ্ঠ তথ্য তাঁদের কাছে নেই।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজির প্রাক্তন অধিকর্তা এম ডি গুপ্তা জানিয়েছেন, NTAGI দুটি ডোজের সময়ের ব্যবধান ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ বাড়ানোর কথা বলেছিল। এই ব্যবধান বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করার সিদ্ধান্ত সরকারের। কিন্তু, ১২ সপ্তাহের পর ডোজ নেওয়া হলে তার কী প্রভাব পড়বে তার কোনও তথ্য সংশ্লিষ্ট গ্রুপের কাছে ছিল না। এটা ঠিক হতেও পারে, নাও হতে পারে। এব্যাপারে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।
একই কথা বলেছেন তাঁর NTAGI-এর সহকর্মী ম্যাথুউ ভার্গিস। তিনি জানিয়েছেন, গ্রুপের তরফে ৮-১২ সপ্তাহের কথা বলা হয়েছিল।
১৩ মে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল, NTAGI কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপের ১২-১৬ সপ্তাহ সুপারিশ গ্রহণ করা হয়েছে। এরপর ১৫ মে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, ভ্যাকসিনের ঘাটতি মেটানোর জন্য এই ব্যবধান বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নয়। এটা বিজ্ঞানভিত্তিক সিদ্ধান্ত।
কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রধান এন কে আরোরা এনিয়ে কোনও মতামত জানাতে চাননি। তিনি শুধু বলছেন, সমস্ত সিদ্ধান্ত NTAGI-এর তরফে সম্মিলিতভাবে নেওয়া হয়েছে।