এক্সপ্লোর
Advertisement
জিডিপি বৃদ্ধির হার আরও কমে ৪.৫ শতাংশ, ৬ বছরে সর্বনিম্ন, অর্থনীতির মূল বুনিয়াদ মজবুত, বলছেন প্রধান উপদেষ্টা
দেশের অর্থনীতির গতি ঝিমিয়ে পড়েছে বলে দেশের বিরোধী শিবির সহ নানা মহলের দাবি। যদিও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সংসদে দাবি করেছেন, সাময়িক অর্থনীতি ঝিমিয়ে পড়লেও তা মন্দা নয়। বিরোধীদের সমালোচনা মানতে নারাজ শাসক শিবিরের অন্য নেতা, মন্ত্রীরাও।
নয়াদিল্লি: দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ফের মার খেল। শুক্রবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, পতনের ধারা অব্যাহত রেখে জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে এই হার আরও কমে হল ৪.৫ শতাংশ, যা ৬ বছরের বেশি সময়কালের মধ্যে সর্বনিম্ন। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ৫ শতাংশ।
এর আগে জিডিপি বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি কম হয়েছিল ২০১২-২০১৩ অর্থবর্ষের জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে। তা হয়েছিল ৪.৩ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে একই ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৭.১ শতাংশ।
দেশের অর্থনীতির গতি ঝিমিয়ে পড়েছে বলে দেশের বিরোধী শিবির সহ নানা মহলের দাবি। যদিও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সংসদে দাবি করেছেন, সাময়িক অর্থনীতি ঝিমিয়ে পড়লেও তা মন্দা নয়। বিরোধীদের সমালোচনা মানতে নারাজ শাসক শিবিরের অন্য নেতা, মন্ত্রীরাও।
শেষ ত্রৈমাসিকেও আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে ৫ শতাংশে ঠেকেছিল। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার হ্রাস পাওয়ার জন্য মূলত ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর ও কৃষি উত্পাদন কম হওয়াকে কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রকের বিবৃতিতে। যদিও জিডিপি হার সংক্রান্ত পরিসংখ্যান নিয়ে দেশের প্রধান আর্থিক উপদেষ্টা কে ভি সুব্রহ্মণ্যমের দাবি, আমরা আবারও বলছি, ভারতীয় অর্থনীতির মৌলিক বুনিয়াদ মজবুতই আছে। জিডিপি বৃদ্ধির হার তৃতীয় ত্রৈমাসিকে বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
অর্থনীতিবিদরাও বেশ কিছুদিন ধরে বলে আসছেন, বৃদ্ধির হার ৪.২ থেকে ৪.৭ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে।
গত ৬ মাসে (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর ২০১৯) ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ছিল ৪.৮ শতাংশ, গত বছর একই সময়কালে তা ছিল সাড়ে সাত শতাংশ। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০১৯-২০ বর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির সম্ভাব্য হার ৬.১ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল। আগের পূর্বাভাস ছিল ৬.৯ শতাংশ।
এদিকে আর্থিক ঘাটতিও পুরো বছরের টার্গেট ইতিমধ্যেই ছাড়িয়ে গিয়েছে। একটি সূত্রের পরিসংখ্যান, এপ্রিল-অক্টোবর পর্বে আর্থিক ঘাটতির পরিমাণ ৭.২ লক্ষ কোটি টাকা। বাজেটে এই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭.০৩ লক্ষ কোটি টাকা।
চিনের আর্থিক বৃদ্ধির হার ২০১৯ এর জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্বে ছিল ৬ শতাংশ। ২৭ বছরের বেশি সময়কালে এটাই চিনের সবচেয়ে কম বৃদ্ধির হার।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
ক্রিকেট
খবর
ক্রিকেট
জেলার
Advertisement