Hamas Captor Proposes Hostage:'তুমি এখানে আমার সঙ্গে থেকে যাও', পণবন্দি ইজরায়েলি তরুণীকে প্রেম-প্রস্তাব হামাস-সদস্যের! তার পর?
Israel Hamas War:গত ৭ অক্টোবরের হামলার পর হামাসের হাতে পণবন্দি হয়েছিলেন ওই তরুণী। কিন্তু কী অদ্ভূত! হামাসের যে সদস্য তাঁকে পণবন্দি করেছিল, পরে সেই ব্যক্তিই তরুণীকে বিয়ে করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে।
কলকাতা: 'প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে, কে কোথা ধরা পড়ে, কে জানে', সেই কবে লিখে গিয়েছেন বিশ্বকবি। তা বলে ঘোষিত 'শত্রুর' সঙ্গে প্রেম? সম্ভব। সে কথাই উঠে এল এক ইজরায়েলি তরুণীর বয়ানে। গত ৭ অক্টোবরের হামলার পর হামাসের হাতে পণবন্দি হয়েছিলেন ওই তরুণী। কিন্তু কী অদ্ভূত! হামাসের যে সদস্য তাঁকে পণবন্দি করেছিল, পরে সেই ব্যক্তিই তরুণীকে বিয়ে করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এমনকি আংটি দিয়ে বিয়ের প্রস্তাবও দেয়, দাবি ইজরায়েলি তরুণীর।
বিশদ...
৫০ দিন হামাসের হাতে পণবন্দি হয়ে কাটিয়েছেন ১৮ বছরের নোগা উইস। গত বছরের শেষ দিকে এক চুক্তির পর হামাস যে কজন পণবন্দিকে ফিরিয়ে দিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে এই অষ্টাদশীও ছিলেন। দেশে ফিরে ওই ৫০ দিনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন নোগা। সে সব মুহূর্ত একেবারে দিনের আলোর মতো স্পষ্ট মনে আছে। তবে হামাসের এক সদস্যের কাণ্ডকারখানা সব থেকে আশ্চর্য লেগেছিল তাঁর। তরুণীর কথায়, 'ওর পণবন্দি হয়ে তখন সপ্তাহদুয়েক কাটিয়ে ফেলেছি। এমন সময়, হঠাতই একটা আংটি এনে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিল। বলেছিল, সকলকে মুক্তি দেব। শুধু তুমি এখানে আমার সঙ্গে থেকে যাও। আমার সন্তানদের জন্ম দাও, লালনপালন করো।' কী উত্তর করেছিলেন তরুণী? ইজরায়েলের বিশিষ্ট দৈনিকে তরুণীর যে বয়ান প্রকাশিত হয়, সেটি অনুযায়ী প্রস্তাব শুনে হেসে উড়িয়ে দেন নোগা। তাঁর কথায়, 'আমার মাথায় যাতে গুলি না করে, সে জন্য ভয়ের চোটে ওর প্রস্তাব হালকা ভাবে নিয়েছিলাম।' তবে তাতে খুুব একটা কাজ হয়নি। জোর করতে থাকে হামাসের ওই সদস্য। একদিন, ধৈর্য না ধরতে পেরে তার উপর চিৎকারও করে দেন অষ্টাদশী। তবে পণবন্দিত্বের ৫০টি দিন এই সদস্যের সঙ্গেই থাকতে হয়েছে নোগাকে। এমনকি হিজাব পরতে হয়েছে, হাতে হাত ধরে হাঁটতেও হয়েছে। নোগা জানালেন, সকলে যাতে তাঁদের বিবাহিত দম্পতি ভাবেন, সেই জন্য এসব করতে বাধ্য করা হয়েছিল।
বাকি...
তরুণীর হামাস-অভিজ্ঞতার বেশিরভাগটাই মর্মান্তিক। ৭ অক্টোবরের হামলায়, নোগার বাবাকে, এমার্জেন্সি স্কোয়াডে অবিলম্বে ডেকে পাঠানো হয়। পরে খবর আসে, গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন তিনি। তাঁর দেহ গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শোকপালনের সুযোগটুকু পাননি তরুণী। তাঁর বাড়ি ঘিরে দাঁড়িয়ে জনাচল্লিশেক হামাস সদস্য, প্রত্যেকের হাতে কালাশনিকভ। হাত পিছমোড়া করে বেঁধে নোগাকে নিয়ে চলে যায় অপহরণকারীরা। প্রথমে নোগা ভেবেছিলেন, মা ও বোনেরাও বোধহয় শেষ। পরে জানতে পারেন, তাঁরা জীবিত। কিন্তু তার আগেই ৫০টা দিনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জমিয়ে জায়গা করে নিয়েছে জীবনে। মাঝখানে 'রিলিফ' বলতে এই প্রেম-প্রস্তাব।
আরও পড়ুন:পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বেআইনি সড়ক নির্মাণ চিনের? উপগ্রহচিত্রে আশঙ্কার মেঘ