Israel-Palestine War: ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধে 'এন্ট্রি' লেবাননের, আকাশসীমা লঙ্ঘন করে অনুপ্রবেশ! বড় ধরনের হামলার আশঙ্কা
Israel vs Lebanon: শনিবার হামাসের তরফে রকেট উড়ে আসার পর থেকেই নতুন করে যুদ্ধ শুরু হয়েছে প্যালেস্তাইন এবং ইজরায়েলের মধ্যে। সেই আবহে প্যালেস্তাইনের সমর্থনে এগিয়ে আসে লেবাননের হেজবোল্লা সংগঠনও।
নয়াদিল্লি: সবল বনাম দুর্বলের লড়াই নয়, পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ এবার মারাত্মক আকার ধারণের পথে। শনিবার থেকে মুখোমুখি লড়াই করছিল ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের হামাস সংগঠন। এবার পড়শি দুই দেশ, লেবানন এবং সিরিয়া থেকেও বড় ধরনের আক্রমণ ধেয়ে আসতে শুরু করেছে ইজরায়েলের দিকে। এর মধ্যে লেবানন তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি করল ইজরায়েল। (Israel-Palestine War)
শনিবার হামাসের তরফে রকেট উড়ে আসার পর থেকেই নতুন করে যুদ্ধ শুরু হয়েছে প্যালেস্তাইন এবং ইজরায়েলের মধ্যে। সেই আবহে প্যালেস্তাইনের সমর্থনে এগিয়ে আসে লেবাননের হেজবোল্লা সংগঠনও (Hezbolla Group)। সীমান্ত থেকে ইজরায়েলি সেনার সাঁজোয়া বাহিনী লক্ষ্য করে রকেট ছোড়ে তারা। পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি ইজরায়েলও। কিন্তু শুধু বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়েই লেবানন থেমে নেই বলে বলে এবার আশঙ্কা মাথাচাড়া দিচ্ছে। (Israel vs Lebanon)
কারণ শনিবার, যুদ্ধের পঞ্চম দিনে মৃতের সংখ্যা যখন ৪ হাজার ছুঁইছুঁই, সেই সময়ই লেবাননের বিরুদ্ধে আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে ইজরায়েল। ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, দেশের আকাশসীমায় বেআইনি অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে লেবানন। তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ভিতরে ঢুকে পড়েছে পড়শি দেশ।
আরও পড়ুন: Israel-Palestine War: শুধু হামাস নয়, আরও দু’দিক থেকে হামলা, ত্রিমুখী লড়াই সামাল দিতে মরিয়া ইজরায়েল
ইজরায়েলি সেনার হোম ফ্রন্ট কম্যান্ডের তরফে দেশের উত্তরের বেইত শিন, সাফেদ এবং তিবারিয়াস অঞ্চলের মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত লুকিয়ে থাকতে। বড় ধরনের হামলা নেমে আসতে পারে বলে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। বুধবার সন্ধের পর থেকে উত্তরের শহরগুলিতে লাগাতার সাইরেন বেজে চলেছে বলেও খবর মিলছে।
এর আগে, বুধবারই হেজবোল্লার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় যে, ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তারা। তাদের দাবি, চলতি সপ্তাহের গোড়ায় তাদের তিন সদস্যকে খুন করেছে ইজরায়েলি সেনা। সীমান্তে লাগাতার আগ্রাসন দেখিয়ে চলেছে তারা। তারই জবাবে হামলা চালানো হয়েছে। শহিদ যোদ্ধাদের মৃত্যুর বদলা নিতে, জবাবি হামলায় ইজরায়েলের ধায়রা গ্রামে রকেট ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। যদিও ইজরায়েলের দাবি, দক্ষিণ লেবানমন থেকেই প্রথম উস্কানি এসেছিল। তার জবাবে বোমা ফেলা হয়।
০০৬ সালের পর থেকে হেজবোল্লা এবং ইজরায়েলি সেনার মধ্যে এত তীব্র পরিস্থিতি আগে লক্ষ্য করা যায়নি। বুধবারই দক্ষিণ লেবাননে রকেট ছুড়েছে ইজরায়েল। ১৯৮২ সালে ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড হেজবোল্লা সংগঠনের প্রতিষ্ঠা করে। ইজরায়েলি বাহিনী লেবাননকে আক্রমণের করলে, ইসলামি বিপ্লবকে আরব দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিতেই হেজবোল্লা গড়ে তোলা হয়। হেজবোল্লার দাবি, তাদের অস্ত্রভাণ্ডার কী বিপুল, সে ব্যাপারে কোনও ধারণাই নেই ইজরায়েলের। সেই আবহেই এবার লেবাননের বিরুদ্ধে আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলল ইজরায়েল।