Jamaat-e-Islami : ১৩ বছর পর ঢাকায় অফিস খুলে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলল জামাত
Bangladesh Unrest : জামাতের তরফে বলা হয়, " যারাই এ দেশে জন্মগ্রহণ করেছে তারাই জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে বাংলাদেশের একজন গর্বিত নাগরিক। "
অগাস্টের শুরুতেই যখন দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছিল কোটা-বিরোধী আন্দোলন, সরকারের দমন নীতিতে প্রাণ গিয়েছিল শয়ে শয়ে মানুষের, তখনই বাংলাদেশে করা হয় জামাত-ই-ইসলামি-কে (Bangladesh Jamaat)। গত ১ অগাস্ট সরকারি ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জামাতকে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সন্ত্রাসদমন আইনের ১৮ (১) ধারা প্রয়োগ করে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এই সংগঠনকে। ব জামাত-ই-ইসলামির ছাত্র সংগঠন, শাখা সংগঠন এবং রাজনৈতিক দল, সব কিছুকেই নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় বাংলাদেশে। কিন্তু হাসিনার জমানা এখন অতীত। আওয়ামি লিগও কার্যত নিশ্চিহ্ন দেশ থেকে। আর এই আবহেই দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে অফিস খুলল জামাত। মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকার বড় মগবাজারে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গেট খোলা হল।
জামাত-ই-ইসলামির আমির শফিকুর রহমান তাদের দলীয় নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানেই দলের কেন্দ্রীয় কমিটি বৈঠক করে। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করেন এই জামাত-নেতা। ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর তালা পড়েছিল তাদের এই অফিসে। হাসিনা-সরকারের পতনের পর আবার দরজা খুলল জামাতের অফিসের।
মঙ্গলবার মামুনুল হক ও সংগঠনের অন্যান্য নেতারা কার্যালয় পরিদর্শন করেন। ঢাকা ট্রিবিউনে প্রকাশিত খবর অনুসারে, জামাতের আমির বলেন, তাদের কার্যালয়ে বহু নথি নষ্ট হয়েছে, ভাঙচুরও করা হয়েছে। সেদিনই জামাতের নেতারা হাসিনার আমলের এই সব 'অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড' দমন করার আহ্বান জানান। জামাত-নেতা বলেন, "আজ, আমরা দেশকে শক্ত হাতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমন করার আহ্বান জানাতে চাই। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, আমরা এই বিষয়ে প্রশাসনকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।" জামাতের দাবি, " কিছু সুবিধাবাদী দুর্বৃত্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, শহর ও গ্রামাঞ্চলে, বেশ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠান,প্রতিদ্বন্দ্বীদের বাড়ি এবং বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালাচ্ছে । ভাঙচুর করছে। লুঠপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। যাদের বিবেক ও মানবতা আছে তারা এসব কাজ করতে পারে না। আমাদের সংগঠন দুর্বৃত্তদের এই সব কাজের কড়া নিন্দা করছে। " আমির বলেন, "যারাই এ দেশে জন্মগ্রহণ করেছে তারাই জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে বাংলাদেশের একজন গর্বিত নাগরিক। "
আরও পড়ুন :
প্রতিবছর ২ লক্ষেরও বেশি হিন্দু বাংলাদেশ ছাড়েন, এখন কি আরও বিপদের মুখে সে-দেশের হিন্দুরা?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।