Centre on J&K : জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের চিঠি প্রসঙ্গে মন্তব্য কেন্দ্রের
জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। রাষ্ট্রসংঘের দুই শীর্ষ আধিকারিককে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের পাঠানো চিঠি প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি।
নয়া দিল্লি : জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কোনও ধরনের প্রশ্নই এই বাস্তবটা পাল্টাতে পারবে না। আজ বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একথা বলা হয়। উল্লেখ্য, নয়া দিল্লি ওই এলাকায় জনতাত্ত্বিক(ডেমোগ্রাফিক) কাঠামো পাল্টানোর চেষ্টা করছে। এই অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রসংঘের দুই শীর্ষ আধিকারিককে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক।
এর পর আজ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কোনও ধরনের প্রশ্নই এই বাস্তবটাকে পাল্টাতে পারবে না। সীমান্ত সন্ত্রাসও অগ্রহণযোগ্য।
সম্প্রতি পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ কুরেশি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি এবং রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলকে চিঠি পাঠান। জাল ডমিসাইল সার্টিফিকেট ইস্যু করে এবং অন্যান্য পদক্ষেপ নিয়ে ভারত কাশ্মীরের ডেমোগ্রাফিক কাঠামো পাল্টানোর চেষ্টা করছে বলে চিঠিতে অভিযোগ জানান কুরেশি। এপ্রসঙ্গে অরিন্দম বাগচি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আর্জি জানান, এনিয়ে মতামত জানানোর জন্য ভারতকে ডেকে পাঠানো হোক। ২০১৯ এর ৫ অগাস্ট এবং তার পরে যেসব ইস্যু উত্থাপন করা হয়েছে তা নিয়েও বলতে দেওয়া হোক।
পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন ২০১৬ সালে পাঠানকোটে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে হামলা চালায়। তার পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। এর পর ভারতীয় সেনার উরির ক্যাম্পে হামলার পর সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। তার পর থেকেই আর পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় যায়নি ভারত। ভারতের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, জঙ্গি কার্যকলাপ এবং আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। এদিকে পাকস্তানকে পাল্টা জবাব দেয় ভারত। ২০১৯-এর ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে জইশ ই মহম্মদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় যুদ্ধবিমান। পুলওয়ামায় ৪০ জওয়ান শহিদ হওয়ার পর এই জবাব দেয় ভারত। এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এছাড়া ২০১৯-এর অগস্টে সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়া হয়। তার পর থেকে কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক স্তরে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছে পাকিস্তান।