Bihar Assembly Elections 2025: বিহারে খুন প্রশান্ত কিশোরের দলের সমর্থক, গ্রেফতার নীতীশ কুমারের প্রার্থী, প্রাক্তন বিধায়ক
Anant Singh: একদা মাফিয়া হিসেবে পরিচিতি থাকলেও, রাজনীতিতে প্রবেশ করে জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন দুলারচাঁদ যাদব।

পটনা: বিধানসভা নির্বাচনের আগে রক্ত ঝরল বিহারে। প্রশান্ত কিশোরের দল ‘জন সুরাজে’র এক সমর্থন খুন হয়েছেন। আর সেই খুনের মামলায় গ্রেফতার করা হল নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দলের (JD-U) প্রাক্তন বিধায়ক, তথা আগামী নির্বাচনের প্রার্থী অনন্ত সিংহকে। আর তাতেই বিহারের রাজনীতি তোলপাড় এই মুহূর্তে। (Anant Singh)
একদা মাফিয়া হিসেবে পরিচিতি থাকলেও, রাজনীতিতে প্রবেশ করে জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন দুলারচাঁদ যাদব। গোড়ায় লালুপ্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলে (RJD) যোগ দেন প্রথমে। পরবর্তীতে প্রশান্ত তাঁর ভাইপো প্রিয়দর্শী পীযূসকে দলে ঠাঁই দেন। গত বৃহস্পতিবার মোকামায় ‘জন সুরাজে’র হয়ে, পীযূসের জন্য প্রচার করছিলেন দুলারচাঁদ। (Bihar Assembly Elections 2025)
নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন মোকামাতেই খুন করা হয় দুলারচাঁদকে। গোটা ঘটনায় গোড়া থেকেই অনন্তের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিল ‘জন সুরাজ’। আসন্ন নির্বাচনে অনন্তকে মোকামায় প্রার্থী করেন নীতীশ। অনন্তের স্ত্রী নীলম দেবীও বিহারের বিধায়ক। রবিবার বাড়ি থেকে অনন্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর দুই সহযোগী, মণিকান্ত ঠাকুর এবং রঞ্জিত রামকেও। ঘটনার সময় তাঁরাও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।
পটনার পুলিশ সুপার কার্তিকেয় শর্মা বলেন, “দুলারচাঁদ যাদব খুনে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে, অনন্ত সিংহ, মণিকান্ত ঠাকুর, রঞ্জিত রাম।” তিনি জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হলে কার্ডিওরেসপিরেটরি ফেলিওর হয় দুলারচাঁদের। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং প্রাথমিক তদন্ত, দুইয়েতেই খুনের ইঙ্গিত মিলেছে।
যদিও এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অনন্ত। তাঁর দাবি, বৃহস্পতিবার মোকামা থেকে অনেক দূরে ছিলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “কী হয়েছে আমি জানি না। কিন্তু আমার ছেলেদের দাবি, দুলারচাঁদের শাগরেদরা ওদের গাড়িতে ভাঙচুর চালায়।” RJD নেত্রী বীণা দেবীর স্বামীর দিকে পাল্টা আঙুল তোলেন অনন্ত। তাঁর কথায়, “সুরাজ ভানের কাজ হবে এটা। এসব করিয়ে ও আমার ঘাড়ে চাপাচ্ছে।”
২০২০ সালে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে RJD-র টিকিটে জয়ী হন অনন্দ। কিন্তু অস্ত্র আইনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাঁর জয় বাতিল হয়। এর পর উপনির্বাচনে মোকামায় জয়ী হন তাঁর স্ত্রী নীলম দেবী। ভাইপোর হয়ে প্রচারে বেরিয়ে লাগাতার নীলমকে আক্রমণ করছিলেন দুলারচাঁদ।
বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর শনিবারই পটনার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) বিক্রম সিহাগকে বদলি করে নির্বাচন কমিশন। একাধিক রদবদলও ঘটিয়েছে তারা পুলিশ প্রশাসনে। আগামী ৬ এবং ১১ নভেম্বর বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। ভোটগণনা ১৪ নভেম্বর।























