US Presidential Election : "কাজটা শেষ করা যাক", আমেরিকায় ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে ৮০-র বাইডেন
Joe Biden : প্রচারের জন্য তৈরি বাইডেনের নতুন টিম একটি ভিডিও তৈরি করেছে এই মর্মে
ওয়াশিংটন ডিসি : আরও একবার হোয়াইট হাউসে (White House) ঢোকার দৌড়ে থাকতে চান তিনি। মঙ্গলবার সেকথা জানিয়ে দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (USA President Joe Biden)। অর্থাৎ, ২০২৪-এ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে আবার বাইডেন। যদিও তিনি আমেরিকার সর্বকালীন প্রবীণ প্রেসিডেন্ট। এবারও শেষমেশ দাঁড়ালে ৮০-এর প্রবীণকে অফিসে আরও চার বছর আমেরিকাবাসী দেখতে চাই কি না সেটাই এখন দেখার।
প্রচারের জন্য তৈরি বাইডেনের নতুন টিম একটি ভিডিও তৈরি করেছে এই মর্মে। যেখানে বাইডেন ভোটে লড়াইয়ের ঘোষণা করেছেন। ভিডিও বার্তায় বাইডেন বলেছেন, আমেরিকার গণতন্ত্রকে রক্ষা করা তাঁর কাজ। ভিডিওটি শুরুই হচ্ছে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি আমেরিকার ক্যাপিটলে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের হামলার ঘটনা দিয়ে।
Every generation has a moment where they have had to stand up for democracy. To stand up for their fundamental freedoms. I believe this is ours.
— Joe Biden (@JoeBiden) April 25, 2023
That’s why I’m running for reelection as President of the United States. Join us. Let’s finish the job. https://t.co/V9Mzpw8Sqy pic.twitter.com/Y4NXR6B8ly
বাইডেন বলছেন, "চার বছর আগে আমি যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে ছিলাম, তখন আমি বলেছিলাম, আমরা আমেরিকার আত্মার জন্য লড়ছি। আমরা এখনও তা-ই করছি। এটা আত্মতুষ্টির সময় নয়। তাই আমি পুনরায় নির্বাচনের দৌড়ে থাকছি। কাজটা শেষ-ই করে নেওয়া যাক। আমি জানি, আমরা পারব।"
এদিকে বয়সও একটা সমস্যা হতে পারে বাইডেনের ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে পুনরায় নির্বাচনের জন্য বাইডেনকে প্রার্থী করা একটা ঐতিহাসিক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হতে চলেছে ডেমোক্রেটিক পার্টির কাছে। যদি দ্বিতীয়বার বাইডেন ক্ষমতায় ফেরেন, সেক্ষেত্রে তাঁর টার্ম শেষ হবে ৮৬ বছর বয়সের শেষ দিকে। যা আমেরিকার অনেকের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে ইতিমধ্যেই। কারণ, এই বয়সটা আমেরিকার পুরুষদের গড় আয়ুর থেকে এক যুগ সময় বেশি। এই পরিস্থিতিতে বাইডেনের নামে সিলমোহর পড়েছে ৩৯ শতাংশের। গত ১৯ এপ্রিল Reuters/Ipsos পরিসংখ্যানটি প্রকাশ করেছে ।
তবে, আশার আলো দেখিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা বলছেন, বাইডেন মদ্য পান করেন না এবং সপ্তাহে পাঁচ বার শরীরচর্চা করেন। ফেব্রুয়ারিতে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা গেছে, উনি পুনরায় অফিস চালানোর মতো ফিট আছেন। তাছাড়া হোয়াইট হাউসের তরফেও বলা হয়েছে, উনি এই কাজের চাপ নেওয়ার মতো মানসিকভাবেও তীক্ষ্ণ।