Kalyan Singh : অযোধ্যায় রামজন্মভূমিমুখী রাস্তার নামকরণ হবে কল্যাণ সিংহর নামে
অযোধ্যায় রামজন্মভূমিমুখী রাস্তার নামকরণ হবে উত্তরপ্রদেশে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংহর নামে। সোমবার এই ঘোষণা করলেন উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য।
লখনৌ(উত্তরপ্রদেশ) : অযোধ্যায় রামজন্মভূমিমুখী রাস্তার নামকরণ হবে উত্তরপ্রদেশে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংহর নামে। সোমবার এই ঘোষণা করলেন উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। তিনি বলেন, অযোধ্যায় রামজন্মভূমির দিকে যে রাস্তাটি গেছে সেটির নামকরণ হবে কল্যাণ সিংহর নামে। অযোধ্যা ছাড়াও, লখনৌ, প্রয়াগরাজ, বুলন্দশহর ও আলিগড়ে একটি করে রাস্তার নামকরণ হবে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রীর নামে।
শনিবার প্রয়াত হন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংহ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। লখনউয়ের সঞ্জয় গাঁধী পোস্টগ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে তাঁর মৃত্যু হয়। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পচন ধরা এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা যায়।
৪ জুলাই থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক। তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছিল। শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। তাঁর চেতনাও হ্রাস পায়। শুক্রবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, তাঁর শারীরিক অবস্থা জটিল হয়ে পড়ায় তাঁকে লাইফ-সেভিং সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শনিবার রাতে তাঁর মৃত্যুর কথা ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কল্যাণ সিংহের মৃত্যুর খবর পেয়ে ট্যুইট করে শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি একাধিক ট্যুইটে লেখেন, ‘আমার শোকপ্রকাশ করার ভাষা নেই। কল্যাণ সিংহজি রাজনীতিবিদ, বর্ষীয়ান প্রশাসক, তৃণমূল স্তরের নেতা ও মহান ব্যক্তি ছিলেন। উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নে তাঁর অদম্য অবদান ছিল। তাঁর পুত্র শ্রী রাজবীর সিংহের সঙ্গে কথা বলেছি এবং শোকপ্রকাশ করেছি। ওম শান্তি। ভারতের সাংস্কৃতিক পুনরুত্থানে অবদানের জন্য পরবর্তী প্রজন্ম কল্যাণ সিংহের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। তিনি ভারতীয় মূল্যবোধের প্রতি বিশ্বাসী ছিলেন এবং আমাদের শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য নিয়ে গর্বিত ছিলেন। কল্যাণ সিংহজি সমাজের কোটি কোটি প্রান্তিক মানুষের কণ্ঠস্বর ছিলেন। কৃষক, তরুণ প্রজন্ম ও মহিলাদের ক্ষমতায়নে তাঁর বিশেষ অবদান ছিল।’
শনিবার তাঁর মৃত্যুর কথা জানার পর ট্যুইট করে শোকপ্রকাশ করেন অমিত শাহ, নীতীন গড়করি, পীযূষ গয়াল, বসুন্ধরা রাজে, রাজনাথ সিংহ-রা।