পুরসভার দূষিত জল খেয়ে ভবানীপুর, আলিপুর মহিলা জেলে ২ জনের 'মৃত্যু'
পানীয় জল দূষণের জেরে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে বন্দি বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন
কলকাতা: ভোটের মুখে খাস কলকাতায় পানীয় জলে দূষণের আতঙ্ক। এমনকি ডায়েরিয়ায় মৃত্যুও হয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রের দাবি, সম্প্রতি মাদককাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামী, আলিপুর মহিলা জেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোমবার এক বিচারাধীন বন্দির মৃত্যু হয়। জেলের আরও ৫ জন ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
পাশাপাশি ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে, ডায়েরিয়ার জেরে এক ব্যক্তির মৃত্যুও হয়েছে বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবার। প্রতিটি ক্ষেত্রেই পানীয় জলে দূষণের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পানীয় জলের পাইপ লিক করে তার সঙ্গে মিশে গেছে নর্দমার জল। তার জেরেই দূষিত হয়েছে জল। তাঁদের দাবি, গত কয়েকদন ধরেই তাঁরা পানীয় জলে দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন। সম্প্রতি এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পরিস্থিতি এমনই যে তাঁরা জল কিনে খেতে বাধ্য হচ্ছেন।
অভিযোগ, পানীয় জলে দূষণের জেরে অসুস্থ হয়ে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে মৃত্যু হয়েছে কলকাতা পুরসভার এক কর্মীর। তাঁর নাম ভুবনেশ্বর দাস।
থাকতেন শ্রমিক কোয়ার্টারে। ডায়েরিয়ার জেরে সম্প্রতি ওই পুরকর্মীর স্ত্রী ও জামাই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
৭৩ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা ও কোঅর্ডিনেটর রতন মালাকার বলেন, ‘‘ওখানে জলের পাইপের সঙ্গে ড্রেনের জল মিশে যাওয়াতেই দূষণের ঘটনা ঘটে। আমরা ওই পাইপ ব্লক করে দিয়েছি। বিভিন্ন জলের ট্যাঙ্কে ক্লোরিন ছড়ানো হয়েছে। বাড়ি বাড়ি ওআরএস দিয়েছি। তবে যিনি মারা গিয়েছেন, তিনি স্নান করার জল খেয়েছিলেন।’’
কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম বলেন, যে কোনও মৃত্যুই দুঃখের। তবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু ডায়েরিয়ায় হয়েছে, ডেথ সার্টিফিকেটে তা বলা হয়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার পুরসভার অফিসাররা আলিপুর মহিলা জেলে গিয়ে জলের নমুনা পরীক্ষা করে দেখবেন। পাশাপাশি পুরসভার তরফে ওই এলাকায় সকাল-বিকেল ৩টি করে পানীয় জলের গাড়ি পাঠানো হচ্ছে।