Kolkata Air Pollution : খারাপ হচ্ছে মহানগরের বাতাস, বায়ুদূষণ বাড়ছে কলকাতা ও হাওড়ায়
Air Pollution In Kolkata : বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম কণার পরিমাণ কমাতে না পারলে, সামনে যে আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করছে, তা নিয়ে সতর্ক করছেন তাঁরা
সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা : বায়ুদূষণের (Air Pollution) মাত্রা বাড়ছে শহরে। কলকাতার বাতাসে বাজছে বিপদঘণ্টি। দিল্লির (Delhi) দূষণ নিয়ে আলোচনা বহুচর্চিত। এনিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে দূষণ-দৌড়ে স্বস্তিতে নেই তিলোত্তমাও। বিষ মিশছে বাতাসে। পরিস্থিতি দেখে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন চিকিৎসকরা।
ফুসফুস বিশেষজ্ঞ ডা. পার্থসারথি ভট্টাচার্য জানালেন, ' এমন রোগী পাচ্ছি যার কোনও কয়লায় রান্না হয় না সিওপিডি আছে, দূষণ দায়ী, আগামী দিনে উদ্বেগের কারণ'
আরও পড়ুন :
রাজ্যে এবং কলকাতায়, তিনদিনে তিনগুণেরও বেশি বাড়ল দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
পরিবেশবিদদের মতে, প্রতি ঘন মিটার বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণার মাত্রা ১০০ পিপিএম পর্যন্ত হলে তা মোটামুটি সন্তোষজনক হিসেবে ধরা হয়। এরপর মাত্রা যত বাড়তে থাকে, ততই তা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
৩০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায় পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় প্রতি ঘন মিটার বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণার মাত্রা ৩২২-৩৩৬-এর মধ্যে। সেক্ষেত্রে ওইদিন একই সময়ে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তার পরিমাণ ৩৩৬ পিপিএম। হাওড়ার ঘুসুড়ির ক্ষেত্রে সেই মাত্রা ৩৫০। যা দিল্লির থেকেও বেশি। অর্থাৎ, তথ্যের নিরিখে এই পরিসংখ্যান কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলার পক্ষে যথেষ্ট।
চিত্তরঞ্জন সেবাসদন হাসপাতালের অধ্যক্ষ আশিস মুখোপাধ্যায় জানালেন, দূষণ যদি এরকম হয় সেক্ষেত্রে কোভিড রোগীদের কষ্ট আরও বাড়বে। এই অবস্থায় উদ্বেগ বাড়াচ্ছে শহরের সাফাই অভিযানের পদ্ধতিও। পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনের একাংশের উদাসীনতা ও গাফিলতিকেই দায়ী করছেন পরিবেশকর্মীরা। সবমিলিয়ে দূষণ নিয়ে ঘুম উড়েছে গঙ্গার দুই পাড়ের দুই শহরের বাসিন্দাদের।
বায়ু মানের সূচকের শূন্য থেকে ৫০-র মধ্যে থাকলে ধরা হয় ভালো। ৫১ থেকে ১০০- মধ্যে সন্তোষজনক, ১০১ থেকে ২০০-র মধ্যে সহনীয় , ২০১ থেকে ৩০০-র মধ্যে খারাপ, ৩০১ থেকে ৪০০-র মধ্যে খুব খারাপ, ৪০১ থেকে ৫০০-র মধ্যে গুরুতর।
আরও পড়ুন : কলকাতায় দৈনিক করোনা আক্রান্ত দু’হাজারের কাছাকাছি