Sovan-Baisakhi vs Ratna: ‘ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে স্বামী-সহ আমাকে পেটানোর হুমকি দিচ্ছেন রত্না’, লালবাজারে অভিযোগ বৈশাখীর
শোভন-পত্নী তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘উনি সিপি-র কাছে গিয়েছেন, আমি সব প্রশাসকের কাছে যাব।‘
কলকাতা: রত্না চট্টোপাধ্যায় তাঁকে পেটানোর হুমকি দিচ্ছেন বলে পুলিশের দ্বারস্থ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। লালবাজারে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নিরাপত্তা চাইলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী।
লালবাজারে গিয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান বৈশাখী। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, রত্না চট্টোপাধ্যায় তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে বলছেন।
চিঠিতে বৈশাখী বলেন, ‘রত্না চট্টোপাধ্যায় আমাকে হুমকি দিচ্ছেন। প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে বলছেন। বলছেন, ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে স্বামী-সহ আমাকে পেটানো হবে।’
বৈশাখীর দাবি, রত্নাকে প্রভাবশালী উল্লেখ করে বৈশাখী লেখেন, ‘উনি এখন শুধু তৃণমূলের একজন নেত্রী নন, উনি প্রভাবশালী বিধায়ক। আগেও অভিযোগ করেছিলাম, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
বৈশাখী জানান, তিনি আতঙ্কে রয়েছেন। বলেন, ‘আমি এতে খুবই আতঙ্কিত, ভয়ে রয়েছি। একইসঙ্গে, পুলিশের কাছে নিরাপত্তার আর্জিও জানান শোভনের বন্ধবী।
এদিকে, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী তথা বেহালা-পূর্ব তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় জানান, বৈশাখী পুলিশ কমিশনারের কাছে গেলে, তিনি প্রশাসকের দ্বারস্থ হবেন।
বললেন, ‘উনি সিপি-র কাছে গিয়েছেন, আমি সব প্রশাসকের কাছে যাব। তাঁদের কাছে গিয়ে আমার স্বামীর নিরাপত্তার আর্জি জানাব।’
একইসঙ্গে, ঘুরিয়ে বৈশাখীর বিরুদ্ধে শোভনের সম্পত্তি হাতানোর অভিযোগ তোলেন রত্না। বলেন, ’শোভনের সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়াই ছিল বৈশাখীর আসল পরিকল্পনা।’
গতকাল, জামাইষষ্ঠীর সকালে ফেসবুকে নিজের নামের সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জুড়ে দিয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তিনি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আমি থেকে আমাদের পথ চলা শুরু হল। আর এরপরই শোভন চট্টোপাধ্যায় জানালেন, তাঁর সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি তিনি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে উইল করে দিয়েছেন।
শোভনের সম্পত্তি বৈশাখীর নামে হওয়া নিয়ে, নিয়ে যখন তুঙ্গে আলোচনা, তারই মধ্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে অন্য একটি ঘটনা। গতকালই গোলপার্কের ফ্ল্যাট থেকে সরে যাওয়ার জন্য শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ফের আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন তাঁর শ্যালক তথা রত্না চট্টোপাধ্যায়ের ভাই শুভাশিস দাস।