বেতনবৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবিতে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের কর্মবিরতি চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যালে
এই ঘটনায় পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ করেছেন রোগীর পরিজনরা।
ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: নিয়মিত বেতন, বেতনবৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবিতে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যালে উত্তেজনা ছড়াল। বৃহস্পতিবার কার্যত কর্মবিরতির পথে হাঁটলেন গ্রুপ ডি অর্থাৎ চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের একাংশ। এই ঘটনায় পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ করেছেন রোগীর পরিজনরা। সবমিলিয়ে ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে হাসপাতাল চত্বরে।
এ দিন নিয়মিত বেতন-সহ একাধিক দাবিতে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যালে কার্যত কর্মবিরতি ঘোষণা করেন চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের একাংশ। হাসপাতালে আসা রোগীর পরিবারের দাবি, এর প্রভাব পড়েছে পরিষেবায়। রক্তের নমুনা সংগ্রহের কাজ ব্যাহত হয়েছে। রোগীর পরিজনরা বলছেন, ৫-৬ জনের নমুনা সংগ্রহের পরেই তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় ওই ঘরে। যদিও হাসপাতালের দাবি, সমস্ত পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলেই জানাচ্ছেন কর্মীদের একাংশ। এ দিন বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পার্কসার্কাসের চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের গ্রুপ ডি-র কর্মচারীরা। জানা গিয়েছে, কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের দীর্ঘ দিনের দাবি, একই ধরনের কাজে অন্যদের সঙ্গে গ্রুপ ডি অর্থাৎ চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের সমবেতন দেওয়া হোক অর্থাৎ সমকাজে সমবেতন। তবে কর্মীদের অভিযোগ কর্তৃপক্ষ সেই দাবি না মানায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন ওই কর্মীরা।
ঠিকাকর্মীদের একাংশের বক্তব্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগেও এই বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল র্তৃপক্ষের কাছে লিখিত দাবি জানিয়েছিল তাঁরা। কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশের পর দু-মাস কেটে যাওয়া সত্ত্বেও দাবি পূরণ না হওয়ায় প্রতিবাদে নেমে নিজেদের কাজকর্ম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতিতে একটা বড় অংশের কর্মী কাজ বন্ধ রাখায় সমস্যায় পড়বেন রোগীরা। সূত্রের খবর, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা সরাসরি স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যুক্ত নন, বেসরকারি সংস্থার অধীনে কাজ করেন। ফলে তাঁদের বেতন-সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেখা ওই সংস্থার দায়িত্ব, হাসপাতালের নয়।