করোনা-মুক্ত হয়েও ছাড়া না পাওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিবারের তরফে বিল কমানোর আবেদন জানানো হয়নি।
কলকাতা: চিকিত্সার খরচ পুরো মেটাতে না পারায় করোনা-মুক্ত হওয়ার পরেও দমদমবাসী গৃহবধূকে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল ডিসান হাসপাতালের বিরুদ্ধে। আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিবারের তরফে বিল কমানোর আবেদন জানানো হয়নি। থানায় অভিযোগ দুর্ভাগ্যজনক।
পরিবার সূত্রে খবর, শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় ৩২ বছরের কুমকুম সিংহকে গত ২৯ মে, ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবারের দাবি, অভিযোগ, প্রায় ১৩ লক্ষ বিল হওয়ায় টাকার অঙ্ক কমানো নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়। কিন্তু বিলের টাকা পুরো না মেটানোয় করোনা-মুক্ত রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়নি বলে অভিযোগ। গতকাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে গৃহবধূর পরিবার।
অভিযোগকারী তথা ওই মহিলার স্বামী অসীম সিংহ বলেন, বিলের টাকা এত বেশি কোথা থেকে দেব? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করি। মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর চিঠি জমা দিই। কাজ হয়নি। করোনা-মুক্ত হওয়ার পরেও ছাড়ছে না। ওই মহিলার ভাই চন্দন দাস বলেন, ২৯ মে ভর্তি করেছিলাম। শ্বাসকষ্ট ছিল। করোনা ধরা পড়ে।
ডিসান হাসপাতালের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর তাপস মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিলের পরিমাণ মোট ১১ লক্ষ টাকা। বিমা সংস্থা ও পরিবারের তরফে টাকা দেওয়ার পরও কয়েক লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে। টাকার অঙ্কে ৫ লক্ষ ১১ হাজার। তাঁর দাবি, পরিবারের পক্ষ থেকে বিল নিয়ে বিবেচনার আবেদন করা হয়নি। মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর চিঠি পেয়েছি। সেটা বিবেচনা করা হবে। থানায় অভিযোগ জানানো দুর্ভাগ্যজনক।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে করোনা চিকিৎসার জন্য বিপুল অঙ্কের বিলের অভিযোগ ওঠে। ১৬ মে থেকে করোনা আক্রান্ত হন বাগুইআটির বাসিন্দা। রোগীর পরিবার জানায়, বিল মেটাতে গিয়ে বিক্রি করতে হয়েছে গয়না, গাড়ি। শুধু তাই নয়, বিল মেটাতে নিউটাউনের ফ্ল্যাট বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করোনা আক্রান্তের পরিবারের।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, করোনা চিকিৎসার জন্য প্রথমে ভর্তি করা হয় ডিভাইন হাসপাতালে। বাগুইআটির ডিভাইন হাসপাতালে ৪ লক্ষ টাকা বিল মেটানো হয়। ২৮ মে ভর্তি করা হয় সল্টলেকের আমরি হাসপাতালে। ২৮ মে থেকে ভেন্টিলেশনে, গত সাতদিন ধরে ছিলেন ‘একমো’ সাপোর্টে। সল্টলেকের আমরি হাসপাতালে ২০ লক্ষ টাকা বিল হয়েছে বলে দাবি করোনা আক্রান্তের পরিবারের।