ওজনে কম গ্যাস সিলিন্ডার! প্রশ্ন করায়, দম্পতিকে হেনস্থার অভিযোগ ডেলিভারি বয়ের বিরুদ্ধে
বাড়ি মালিকের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়। গ্যাস সিলিন্ডার দিতে আসা যুবক ধাক্কা দিচ্ছেন বাড়ির মালিককে।
হিন্দোল দে, কলকাতা: ওজনে কম, গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার অভিযোগ। এ নিয়ে, প্রশ্ন করায়, এন্টালিতে দম্পতিকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল ডেলিভারি বয়ের বিরুদ্ধে। এন্টালি থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। অভিযুক্তকে যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
বাড়ি মালিকের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়। গ্যাস সিলিন্ডার দিতে আসা যুবক ধাক্কা দিচ্ছেন বাড়ির মালিককে। ছবিটা আশঙ্কাজনক। অভিযোগ, সিলিন্ডারের ওজন স্বাভাবিকের থেকে কম হওয়ায় এবং তা নিয়ে অভিযোগ তোলায়, এভাবেই হেনস্থা করা হয় এন্টালির বাসিন্দা এই দম্পতিকে। পরিবারের তরফে দাবি, শুক্রবার সকালে, তাঁদের বাড়িতে ইন্ডেনের গ্যাস সিলিন্ডার দিতে আসেন এক যুবক। অভিযোগ, তাঁর সামনেই, মেপে দেখা যায়, সিলিন্ডারটির ওজন বেশ কম।
এ নিয়ে অভিযোগ করলে, সেই কর্মী চলে যান। কিছুক্ষণ পর আরেকজন আসেন। অভিযোগ, তিনি জোর করে সিলিন্ডারটি নিয়ে চলে যেতে চান। তাতে রাজি না হওয়ায়, বাড়ির মালিক ও তাঁর স্ত্রীকে ধাক্কা দেন এই কর্মী। এন্টালি ইনডেন গ্যাস ডিলারের কর্মী জানিয়েছেন, দোষ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এন্টালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত কর্মীকে পাকড়াও করেছে পুলিশ।
তবে ডেলিভারি বয়ের সততার নজিরও রয়েছে এই শহরেই। ঘটনা জুলাই-এর শুরুর দিকের। রাস্তা থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকা কুড়িয়ে পেয়েও তা ফিরিয়ে দিলেন ফুড ডেলিভারি বয়। আর এমন সততার পরিচয় দিয়ে মন জিতেছিলেন বছর ২৩-এর অজিত কর্মকার। উইকেন্ডে কাজের চাপ ছিল, ছিল সময় মতো খাবার পৌঁছনোর তাড়াও। তবে দায়িত্ব পালনে পিছ পা হলেন না তরুণ।
একটি ফুড ডেলিভারি সংস্থায় ডেলিভারি বয়ের কাজ করেন বছর ২৩-এর অজিত কর্মকার। বেলেঘাটা মেইন রোড দিয়ে খাবার পৌঁছে দিতে কাস্টমারের বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন অজিত। সিআইটি রোডের কাছে পৌঁছতেই থামতে হয় তাঁকে। তিনি দেখতে পান একটি প্যাকেট পড়ে রয়েছে রাস্তার ধারে।
সেটি হাতে নিয়ে খুলতেই চক্ষু চড়ক গাছ। দেখা যায় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট- সহ ১০,২০০ টাকা নগদ রয়েছে সেই প্যাকেটে। সঙ্গে সঙ্গে প্যাকেটটি নিয়ে বেলেঘাটা থানায় পৌঁছে যান অজিত। অক্ষত অবস্থায় থানায় জমা দেন প্যাকেটটি। ডকুমেন্টে লেখা ছিল লাল মোহন দাসের নাম। খোঁজ খবর করে ট্যাংরার বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে খবর দেয় পুলিশ। এর পর লাল মোহন দাস এসে উপযুক্ত প্রমাণ-সহ ব্যাগটি ফেরত নিয়ে যান।