আফগানিস্তানের পরিস্থিতিতে বন্ধ কলকাতায় মশলা আমদানি, উদ্বিগ্ন রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ
এর জন্য বিশেষ মশলা সরাসরি আসে আফগানিস্তান থেকে। কিন্তু, কাবুলের এখন যা অবস্থা, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন কাফিলার কর্ণধার।
কলকাতা: খাস কলকাতায় বসে কাবুলের স্বাদ! রসনাতৃপ্তিতে আফগান-ছোঁওয়া। শহরের কয়েকটি রেস্তোরাঁ সরাসরি মশলা আমদানি করে আফগানিস্তান থেকে। কিন্তু সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি দেখে উদ্বিগ্ন রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ।
অশান্ত কাবুল। মন খারাপ কলকাতার। মাঝে দূরত্ব ২ হাজার ২৮৮ কিলোমিটারের। কিন্তু দুই শহরের আত্মিক-যোগ সুপ্রাচীন। নানা নিদর্শন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে এই শহরে। যেমন সল্টলেকের ১৬ বছরের পুরনো রেস্তোরাঁ কাফিলা।
অন্তঃসজ্জায় আফগান-নকশা। আবহসঙ্গীতে আফগান-সুর। তারিফ করতেই হবে কাবুলি নান, কান্দাহারি লাহাম, আফগানি কলমি, দেজায়ে মশলুক কিংবা কিধনু গোস্তের মতো জিভে জল আনা আফগান খাবারের। এর জন্য বিশেষ মশলা সরাসরি আসে আফগানিস্তান থেকে। কিন্তু, কাবুলের এখন যা অবস্থা, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন কাফিলার কর্ণধার।
সল্টলেকের এক রেস্তোঁরার কর্ণধার অনিল জয়সওয়াল বলছেন, আমরা সমস্যায় পড়েছি, স্টক ফুরিয়ে আসছে।
মধ্য কলকাতার জাকারিয়া স্ট্রিট। একসময় কাবুলিওয়ালাদের আনাগোনা ছিল বেশ। এই চত্বরেই আছে তাস্কিন নামে একটি রেস্তোরাঁ। সেখানে আফগান মুর্গান বলে একটি মেনু ভীষণ জনপ্রিয়।
জাকারিয়া স্ট্রিটের একটি রেস্তোঁরার কর্ণধার, জানিয়েছেন, চিকেন চাঙ্গেজি, আফগান মুর্গান খেতে ভিড় লেগে যায়, একসময় প্রচুর কাবুলিরা আসত, আগে জাকারিয়া স্ট্রিটে অনেক খাবার পাওয়া যেত, আফগানিস্তানের যা অবস্থা, ভালো লাগছে না দেখে।
কলকাতার অলি গলিতে ছড়িয়ে থাকা রসনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে আফগানিস্তানের সম্পর্ক, এখানে সন্ধে হয়ে এলেই অনেক মানুষের ভিড় জমত, এখন আর হয় না।