Bowbazar Incident: বোরিং মেশিন বার করায় বিপত্তি, নাকি অন্য কোনও বিপর্যয়! বউবাজারে ফের একাধিক বাড়িতে ফাটল
East West Metro: মেট্রোর তরফে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও সাফাই মেলেনি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।
কলকাতা: মধ্যরাতে তিন বছর আগের সেই আতঙ্ক ফিরল কলকাতার বউবাজারে (Bowbazar Incident)। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের (East West Metro) সংলগ্ন দুর্গাপিতুরি লেনে একাধিক বাডি়তে ফাটল দেখা দিয়েছে। সন্ধের পর থেকে অন্তত ১০টি বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে দুশ্চিন্তার বিষয় হল, ২০১৯-এর অগস্টে যে বাড়িগুলিতে ফাটল ধরেছিল, এ বারও সেই বাড়িগুলিতেই ফাটল ধরেছে বলে অভিযোগ। বাড়ির মেঝে থেকে সিলিং, ফাটল বিকেলের পর থেকে ফাটল ক্রমশ বেড়েছে বলেই অভিযোগ।
একাধিক বাড়িতে ফাটলের পুনরাবির্ভাব
তাতেই মেট্রো কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা (Kolkata News)। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৯-এর সেই ঘটনায় অন্তত ৪০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙেও ফেলতে হয় পুরোপুরি। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলিকে মেট্রো কর্তৃপক্ষই মেরামত করে দেন। কিন্তু তিন বছরের মাথায় মেরামত করা সেই বাড়িগুলিতেই কেন ফাটল ধরল, উত্তর খুঁজছেন স্থানীয়রা। তাহলে কি সেই সময় ঠিক মতো বাড়িগুলির সংস্কার হয়নি, প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।
মেট্রোর তরফে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও সাফাই মেলেনি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। ২০১৯-এর ঘটনার পর মেট্রোর সুড়ঙ্গে ২৪ ঘণ্টা ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল, যাতে সুড়ঙ্গের নীচে কোনও বিপর্যয় দেখা দিলে তা ক্যামেরায় বন্দি হয়ে যায়। সেই ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এই মুহূর্তে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, মেট্রোর সুড়ঙ্গে কোনও সমস্যা ছাড়া এমনটা হওয়া সম্ভব নয়। সুড়ঙ্গ থেকে বোরিং মেশিন বের করার জন্য ফাটল কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Bowbazar Incident: 'কোথায় যাব জানি না', মাঝরাতেই বাড়ি ছেড়ে হাহাকার বাসিন্দার
এ কে নন্দী, জেনারেল ম্যানেজার (অ্যাডমিন), কেএমআরসিএল বলেন, "ইঞ্জিনিয়ররা গিয়েছেন। চেষ্টা করছি আগে লোকজনকে বের করে আনার। আকস্মিক ঘটেছে। কী থেকে হয়েছে বলতে পারছি না। কেউ তো নিজের থেকে কিছু করে ফেলেননি! এটা ইঞ্জিনিয়ররাই বলতে পারবেন। যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি অ্যাকশন নিচ্ছি। বাড়ি ডেঞ্জার থাকলে আগে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। তারপর নেক্সট অ্যাকশন হবে।"
মেট্রো কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় প্রশ্ন
তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পার্থপ্রতিম বিশ্বাসের বক্তব্য, "মেট্রোর আরও বাড়তি সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। ফাটলের লেংথ বাড়ছে কিনা সেদিকে নজর রাখা। বাড়লে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। ৭২ ঘণ্টা নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা উচিত।" ওই এলাকায় কলকাতার অধিকাংশ বাড়ি বেশ পুরনো। চুন সুড়কির মশলা। মাটি সরলে বিপদ নেমে আসাই স্বাভাবিক বলে মত তাঁর।